বাড়ি তৈরি করার কাজে হাত লাগানো তো দূর, ইমারতি দ্রব্যই কিনে উঠতে পারেননি তাঁরা। দিনকয়েক আগে প্রশাসন হিসেব করে দেখেছে, এই তালিকায় রয়েছেন প্রায় সাত হাজার উপভোক্তা। কিন্তু কেন এখনও তাঁরা এই কাজ করেননি, সেটাই ভাবাচ্ছে আধিকারিকদের।
ওই উপভোক্তারা অবশ্য ভাবলেশহীন। কাজ তাঁরা করে নেবেন বলেই দায় এড়িয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন এতে আশ্বস্ত হচ্ছে না। বারবার ওই উপভোক্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। তাতেও কাজ হয়নি। তাই এবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তি টাকা ফেরত দেওয়ার চিঠি তাঁদের ধরানো হবে বলে ঠিক হয়েছে।
advertisement
জানা গিয়েছে, জেলায় এখন দু’ধরনের মানুষের উপর বেশি নজর রাখছে প্রশাসন। প্রথম, যাঁরা ইমারতি দ্রব্য কিনে এখনও নির্মাণ কাজ শুরু করেননি এবং দ্বিতীয়, টাকা পেয়েও একদম চুপ করে বসে আছেন। এই দ্বিতীয় শ্রেণির উপভোক্তাদের নিয়ে এখন পঞ্চায়েতস্তরে আলোচনাও শুরু হয়েছে।
তাঁদের পঞ্চায়েতে ডেকে শেষবারের মতো সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা যাতে কোনওভাবেই সরকারের দেওয়া বাড়ি তৈরির টাকা নয়ছয় না করেন, সেই দিকেই বিশেষ নজর রেখেছেন আধিকারিকরা। ওই অফিসারদের বক্তব্য, ইমারতি দ্রব্য কিনেছেন, কিন্তু এখনও বাড়ির কাজে হাত দেননি যাঁরা, তাঁরা আজ নয় কাল তা শুরু করে দেবেন। কিন্তু হট, বালি, সিমেন্ট না কিনে যেসব উপভোক্তন চুপ করে বসে রয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যই বোঝা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- বৌমা কোথায়! হাসপাতাল ভর্তি শ্বশুর খুঁজতে বেরলেন রাস্তায়, তারপরেই যা ঘটল
সূত্রের খবর, একটা সময় জেলায় ৩৫ হাজারের মতো বাসিন্দা বাড়ির কাজ শুরু করেননি বলে জেনেছিল প্রশাসন। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠি দেওয়ার পর অনেকটা কাজ হয়েছে। এখন সংখ্যাটা কমেছে। কিন্তু এই সাত হাজার উপভোক্তাকে কীভাবে কাজ শুরু করানো যায়, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।
সুমন সাহা