২৪ তারিখ বিকেলে কাটোয়া থেকে ট্রেন ধরে গিয়েছিলেন বর্ধমান এবং তারপর বর্ধমান থেকে প্রয়াগরাজ। এই প্রসঙ্গে বর্ণালী হালদার বলেন, “২৫ তারিখ বিকেলে আমার বাড়িতে, আমার আত্মীয়রা ফোন করে বলেন যে মাকে বেলা ১ টা থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি দলছাড়া হয়ে গিয়েছেন, ওখানে এখন মাকে বাদ দিয়ে বাকি ১৩ জন আত্মীয় রয়েছেন।” বর্ণালীর সঙ্গে তার মায়ের শেষ কথা হয়েছিল ২৪ তারিখ সকালে। তারপর থেকে আর মায়ের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। বর্ণালী ২৫ তারিখ বিকেলে খবর পায় যে তার মা হারিয়ে গেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ধানের থেকে লাভ বেশি! খরচও অনেক কম, চাষিরা এখন সব ভুলে চাষ করছেন এই একটি ফল
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আর এই খবর পাওয়ার পর থেকেই তিনি খুবই চিন্তায় রয়েছেন। মায়ের খোঁজ পাওয়ার জন্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন। তবে বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও তিনি তার মায়ের কোনওরকম খোঁজ পাননি। কুম্ভ মেলায় যে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে সেখানে সম্পূর্ণ বিষয় জানিয়েছেন হারিয়ে যাওয়া আলপনা হালদারের সঙ্গীরা। তবে পুলিশ ক্যাম্পে জানানোর পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি।
গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে পালিত হয় মহাকুম্ভ। এই মহাকুম্ভের সময় এই সঙ্গমের জলে স্নান করলে পূণ্যপ্রাপ্তি হয় ও পাপ ধুয়ে যায় বলে মনে করেন অনেকেই। হরিদ্বার,প্রয়াগরাজ,নাসিক এবং উজ্জয়িনীতে কুম্ভ মেলা হয়। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার সুদপুর গ্রাম থেকে আলপনা সরকার রওনা দিয়েছিলেন প্রয়াগরাজের উদ্যেশ্যে। আর সেখানে গিয়েই তিনি দলছুট হয়ে গিয়েছেন। তবে মায়ের চিন্তায় বর্তমানে ঘুম উড়েছে মেয়ের।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী