মঙ্গলবার বারোটা নাগাদ বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়ার একটি বেসরকারি ভস্মকারি সংস্থায় (ডি এফ ও,নর্থ)উমর ইমাম,(ডি এফ ও, পাঞ্চেত) অঞ্জন গুহ এবং কেন্দ্রীয় চক্রের মুখ্য বনপাল এস কুলান ডাইভেল এর তত্ত্বাবধানে পুড়িয়ে ফেলা হল এই হাতির দাঁতগুলি। কি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেন না?
আরও পড়ুন: পাখিদের মাঝে নিরিবিলি পরিবেশে! দুর্দান্ত পিকনিক স্পট রয়েছে সামান্য দূরত্বে
advertisement
২৪ কেজি ,২৫কেজি ওজনের হাতির দাঁতগুলিকে ঢুকিয়ে দেওয়া হল হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াসের চুল্লিতে। বাঁকুড়া বন দফতরের বিশেষ বার্তা সমাজের প্রতি। অনেকেই হয়ত ভাবছেন, এই সংরক্ষণ করে রাখা হাতির দাঁতগুলিকে ব্যবহার করে জীবিকার নতুন পথ দেখানো যেত।
কিন্তু বন দফতরের চিন্তাভাবনা অন্য। কেন্দ্রীয় চক্র মুখ্য বনপাল এস কুলান ডাইভেল জানান যে বন দফতর কোনও ভাবেই বন্যপ্রাণকে বাণিজ্যিকরণ করতে দেবে না। মৃত্যুর পর মানুষের প্রতিটা অঙ্গ যেভাবে ভস্ম কিংবা মাটির সঙ্গে এক হয়ে যায় ঠিক সেভাবেই হাতির মূল্যবান দাঁত পর্যন্ত পুড়িয়ে ফেলে এই বিশেষ বার্তা দিল বন দফতর।
বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরবঙ্গে পর এই প্রথম বাঁকুড়া জেলায় নষ্ট করে ফেলা হল হাতির দাঁত। হাতির দাঁত পোড়াতে গেলে প্রয়োজন হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রা। সেই কারণেই বন দফতরের প্রয়োজন হয়েছে একটি উচ্চ ক্ষমতাশালী চুল্লির। বড়জোড়ার একটি বেসরকারি চুল্লিতে পুড়িয়ে ফেলা হল ৫৭ টি হাতির দাঁত। দাঁত গুলির ওপরে লেখা রয়েছে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং ওজন।
সারি সারি হাতির দাঁত ঢুকে গেল চুল্লিতে। চুল্লির ধোঁয়ার মতই ছড়িয়ে পড়ল এই বিশেষ বার্তাটি। ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের বিশেষ বার্তা বাঁকুড়ার। বন দফতর এভাবে হাতির দাঁতপুড়িয়েবার্তা দিল বন্য প্রাণকে বানিজ্যকরণ করতে দেওয়া হবে না।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী