পুজোর পুরোহিত সন্তোষ সিকদার জানান, ঐতিহ্যবাহী রামপুর গ্রামের এই পুজোয় বংশ পরম্পরায় তিনি পুরোহিত। মন থেকে মাকে বিদায় দিতে মন চান না। পাশাপাশি বিজয়ার দিনে মায়ের কাছে বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা করলেন বলেও তিনি জানান। যেন বিশ্বের সমস্ত মানুষ সুখী এবং শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাতে পারে।
advertisement
৫০০ বছরের প্রাচীন গ্রামের এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্বই হল মায়ের বিদায় বেলায় গ্রামজুড়ে বিষাদ। হৈ-হুল্লোড়, আনন্দ এবং উৎসবের মধ্য দিয়ে পুজো শুরু হলেও, শেষ মুহূর্তে দেবী দুর্গার বিদায়ের সময় এক গভীর শোকের ছায়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র পুরোহিতই নয়, সমস্ত গ্রামবাসীরই দেবীর বিদায় বেলায় মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন। এই দৃশ্য প্রতিটি মানুষের অনুভূতিকে স্পর্শ করে এবং তাদের মনকে গভীরভাবে দোলা দেয়।
রামপুর গ্রামের দুর্গাপুজো আজও শত বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে এবং এই কান্না, এই প্রার্থনা, এই আবেগ, সব কিছু মিলে রামপুরের দুর্গাপুজোকে বিশেষ করে তোলে। পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য পুজোর ভিড়ে, রামপুরের পুজো এক ব্যতিক্রমী অবস্থানে দাঁড়িয়ে মানুষের অন্তরে এক অমলিন ছাপ রেখে যায়।
শান্তনু দাস