যদিও প্রাচীন এই পুজোর সঠিক ইতিহাস আজ আর কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন না, তবে লোককথা অনুযায়ী জানা যায়, গ্রামেরই কিছু বাসিন্দা স্বপ্নাদেশ পেয়ে একসময় শাঁকড়া গ্রামের ঘনজঙ্গল থেকে দেবী মহাকালীকে নিয়ে আসেন এই শ্মশানে। দেবীর নির্দেশে তাঁরা সেই মূর্তিকে এনে গ্রামের শ্মশানঘাটে প্রতিষ্ঠা করেন। দেবীকে পঞ্চমুণ্ডির আসনে স্থাপন করে শুরু হয় শ্মশান কালীপুজো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে গভীর জঙ্গল থেকে কাঁসর-ঘণ্টার আওয়াজ! জংলা কালীর পুজো করছে কে?
শাঁকড়া গ্রামের শ্মশান কালী মন্দির
পরে স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে আজকের এই বিশাল মন্দির, যার সংস্কারকাজ বর্তমানে নতুনভাবে চলছে। সেই সময় এলাকা ছিল সম্পূর্ণ নির্জন, ভয়াবহ নীরবতায় মোড়া এক শ্মশানভূমি। সেই পরিবেশেই শুরু হয়েছিল এই অনন্য শ্মশান কালীপুজো।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মন্দিরের সেবাইত আনন্দ চক্রবর্তী জানান, ‘এই মন্দিরের সঠিক ইতিহাস আজ আর কারোরই জানা নেই। তবে আমাদের পরিবার চার প্রজন্ম ধরে এই পুজোর সেবা করে আসছে। মা শ্মশান কালী আজও জীবন্ত শক্তির প্রতীক হয়ে গ্রামের মানুষদের রক্ষা করে চলেছেন। পুজোর সময় পাঁচদিন ধরে বিশাল মেলা বসে এখানে, যেখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তের আগমন ঘটে’।
আজ এই পুজো শুধু এক ধর্মীয় আচার নয়, বরং শাঁকড়া গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, ভক্তি ও ঐতিহ্যের প্রতীক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অটুট রয়েছে।