কালীগ্রাম নামেই খ্যাত পূর্ব বর্ধমানের মেমারি আমাদপুর। এই গ্রামে দেবীরা চার বোন। বড়মা, মেজো মা, সেজো মা, ছোটমা এছাড়াও গ্রামে হয় প্রায় ১০০ টিরও বেশি কালীপুজো। কিন্তু এখানে পুজোর পাশাপাশি দেবী বিসর্জনও দেখার মতো ৷ পুজোর পরদিন রাতে চার বোন যখন বিসর্জন শোভাযাত্রায় বের হন, তখন গোটা গ্রাম অন্ধকারে ঢেকে যায় ৷ দাউদাউ করে জ্বলে মশাল ৷ সেই মশালের আলো আধারের মাঝে বেজে ওঠে ঢাক ও কাঁসর ৷
advertisement
প্রতিধ্বনিত হয় ‘জয় মা কালী’ ধ্বনি আর বাঁশের মাচায় করে ভক্ত ও বেয়ারাদের কাঁধে চড়ে সারা গ্রাম পরিক্রমা করেন দেবীরা। পিছনে পিছনে আরও অগুন্তি ভক্তের সারি। সুবিশাল প্রতিমা কাঁধে নিয়েই লাফিয়ে লাফিয়ে নাচের ভঙ্গি করেন ভক্তরা। দেখে মনে হয়, তাঁদের সঙ্গে নেচে উঠছেন স্বয়ং দেবীও।আর এই গ্রাম পরিক্রমা চলে প্রায় সারারাত ধরে। গ্রাম পরিক্রমা শেষে শুরু হয় বিসর্জন। প্রায় ৫০০ থেকে ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই রীতি৷ আর এই প্রাচীন রীতি চাক্ষুষ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা।
আরও পড়ুন- ‘দেহব্যবসা করেই কামিয়েছি…!’ টয়লেটে থরে থরে সাজানো লাখ লাখ টাকা, আয়কর হানায় কেলেঙ্কারি ফাঁস হিট নায়িকার, চিনতে পারলেন?
শোভাযাত্রা চলে সারা রাত্রি ভোরবেলা হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। এই শোভাযাত্রা দেখতে পূর্ব বর্ধমান জেলা-সহ আশেপাশের জেলা থেকেও আসেন বহু মানুষ। জনসমুদ্রে পরিণত হয় গোটা গ্রাম।