বীরভূমের নলহাটির প্রত্যন্ত কয়থা গ্রাম। সেখান থেকে সুদূর আজারবাইজানের রাজধানী বাকু। ভাবতে পারছেন সেখানেই আটকে রয়েছেন এরাজ্যের পঁয়তাল্লিশজন শ্রমিক। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন কয়থা গ্রামের আব্দুল হোসেনও। দীর্ঘদিন ধরেই ঘরের ছেলের ফোন আসছিল না বাড়িতে। হঠাৎই মিলল একটি ভিডিও। তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ প্রত্যকেরই ৷ এসব কিছুই জানা যেত না, যদি না মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দিতেন আব্দুল।
advertisement
অভাবের সংসারের হাল ধরতে কাজের খোঁজ করেছিলেন আব্দুল হোসেন। প্রথমে দিল্লির বিমানবন্দরে রান্নার কাজ পান তিনি। তখনই বেশি আয়ের খোঁজে দালালের ক্ষপ্পরে পড়েন আব্দুল। নদিয়ার পলাশির বাসিন্দা আল্লা রাখা শেখ, কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁদের বিদেশ নিয়ে যান বলে অভিযোগ। সেই দালালও এখন বন্দি আজারবাইজানের জেলে।
গত ৪ জানুয়ারি মুম্বই থেকে প্রথমে আরব ও সেখান থেকে আজারবাইজানে যান আব্দুল হোসেন। কাজে ব্যস্ত থাকায় ছেলের ফোন আসছে না বলে ধরে নিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু ভিডিও সামনে আসতেই অন্ধকার নেমে আসে কয়থা গ্রামের বাড়িতে।
ছেলেকে ফিরে পেতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন আব্দুলের বাড়ির লোক। যোগাযোগ করা হচ্ছে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গেও। সম্প্রতি ভিন রাজ্যে গিয়ে বাংলার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা চাঞ্চল্য ফেলেছে। এবার সেই ঘটনাকেও ছাপিয়ে গেল আজারবাইজানে শ্রমিক বন্দির ঘটনা।