বর্ষীয়ান বামনেতা সুজন চক্রবর্তী সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন শাসকদলের মদতে প্রমোটিং চক্র এই জায়গার দখল নিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের অত্যন্ত পরিচিত এই ল্যান্ডমার্ক আজ কার্যত অচল। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন এই সি–৫ বাসস্ট্যান্ড ঘিরে আন্দোলনে নেমেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় এই এলাকার সাংসদও ছিলেন তিনি। অথচ এখন তাঁর দলেরই একাংশের মদতে বাসস্ট্যান্ডটিকেই ঘিরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেকের আশঙ্কা, এখানে বহুতল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু মণ্ডলের বিরুদ্ধে উঠেছে দখলদারির অভিযোগ।
advertisement
তবে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। রাস্তার উন্নয়ন করা হলেও বাস রাখার বিকল্প জায়গা কোথাও করা যায় কি না, তাও দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। বাসস্ট্যান্ডের জমি ব্যক্তিমালিকানাধীন কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হবে। এদিকে, রাতারাতি বাসস্ট্যান্ড বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রী ও বাসচালকরা। আগে যেখানে প্রতিদিন ২০০টিরও বেশি বাস এই স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ত, এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৫০-এ। সরকারি বাস পরিষেবা থেকে হাওড়া, বিবাদীবাগ, পাইকপাড়া, কলকাতা স্টেশন-সব রুটেই বাস পাওয়া যেত। এখন তা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! ডিসেম্বরেই লাগবে ‘জ্যাকপট’, বৃহস্পতির দুরন্ত চালে অর্থ-সৌভাগ্য তুঙ্গে মেষ-সহ ৪ রাশির
বাসচালক অরূপ চন্দ্র জানান, বাসস্ট্যান্ড না থাকায় প্রতিদিন যাত্রীদের গালাগাল শুনতে হচ্ছে। চালক গোপীনাথ সরদার আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে, বাস কমে যাবে আরও। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় শীলের অভিযোগ, ব্যস্ত সময়ে গড়িয়া এলাকায় যাতায়াত আজ দুঃসহ। যাত্রী তপন নস্কর বলেন বাস ধরতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে সমস্যার সমাধানে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।






