শনিবার বিকেলের ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অভিযুক্ত দেবাশিস রায়কে গ্রেফতার করেছে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। মৃত ওই শিশুর নাম রকি রায়। বয়স ৪ বছর। দিনে দুপুরে এই ঘটনায় তাজ্জব এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, মদের নেশায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়েই এই মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন স্থানীয়রা।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘গভীর ষড়যন্ত্র’, ৭ দিনের প্রশিক্ষণে লুকিয়ে ৯ হাজার ট্রেনি পুলিশ নিয়োগ! শুভেন্দুর চিঠিতে ‘বিস্ফোরণ’
পরিবার সূত্রে এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে অত্যাচার চালাতেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। শনিবার বাড়ি ঢুকে নিজের স্ত্রী আলপনা রায়কে ফল কাটতে বলেন। সে সেই সময় তাঁর স্ত্রী ছেলেকে খাওয়াচ্ছিলেন। ফল দিতে দেরি হওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তি পাশে পড়ে থাকা হাঁসুয়ার কোপ চালিয়ে দেন স্ত্রীর উপর। স্ত্রীর চোখ থেকে মুখের একটি অংশ ঝুলে যায়। পাশে শুয়ে থাকা ছেলের গলায় কোপ লেগে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। তড়িঘড়ি মা ও শিশুকে নবদ্বীপ প্রতাপনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করে। স্ত্রীর নবদ্বীপ প্রতাপনগর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থলে তদন্তে এসে রক্তমাখা ওই ধারালো অস্ত্রটিকে উদ্ধার করেছে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে।
এই ঘটনায় তাজ্জব এলাকার বাসিন্দারা। একজন বাবা কীভাবে নিজের সন্তানকে খুন করতে পারেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না আত্মীয় পরিজনরাও। তাঁরা বলছেন, দেবাশিস মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে সংসারে অশান্তি করতেন, এমনটা শুনেছেন অনেকেই। এজন্য তাঁকে বোঝানোরও চেষ্টা হয়েছে। তার পর এমন মারাত্মক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে, ভাবা যাচ্ছে না।