সুশান্ত রাজপুতের সিনেমা দেখে ভাল লাগত। ভাল লাগত অভিনেতাকেও। তাঁর মৃত্যুতে মর্মাহত দেবস্মিতা। তবে মনোবিদ পাশে থাকলে আত্মহত্যা এড়ানো সম্ভব হতো বলেই তার ব্যক্তিগত মত।
মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা দেবস্মিতা মহাপাত্র রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম। মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। তার সাফল্যের খবর গোটা এলাকায় খুশির জোয়ার। এগরার ভবানীচক হাইস্কুলের ছাত্রী দেবস্মিতা সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে মনোবিদ হতে চায়। বাবা-মা দু'জনেই স্কুল শিক্ষক। বাবা-মা, দাদার পাশাপাশি শিক্ষকদের সাহচর্যেই তাঁর এই ভাল রেজাল্ট, জানিয়েছে দেবস্মিতা। দেবস্মিতার দাদা বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংলিশ অনার্সের ছাত্র।
advertisement
অবসর সময়ে গল্পের বই পড়ে কৃতি এই ছাত্রী। দেবস্মিতা নিশ্চিত ছিল, মাধ্যমিকের ফল ভাল হবে। কিন্তু একেবারে তৃতীয় স্থান তাঁর দখলে থাকবে, সেটা একেবারেই ভাবতে পারেনি। দেবস্মিতা জানিয়েছে, সাতটি বিষয়ের মধ্যে প্রত্যেকটিতেই গৃহশিক্ষক ছিল তার। তবে ভূগোল পড়াতেন বাবা-মা।
এদিকে স্কুলের ছাত্রীর এত বড় সাফল্যে এখন খুশি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান অধিকারী দেবস্মিতা বলেন, "মাধ্যমিকে এত সাফল্য আসবে ভাবিনি। আগামীতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। আমার সাফল্যের পেছনে বাবা- মা- দাদা সহ সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিশাল বড় অবদান রয়েছে।"
SUJIT BHOWMIK