শনিবার ভোরে দেউলবাড়িতে ধানখেতে চারা গাছ দেখতে গিয়ে নির্মল নস্কর, বুদ্ধিশ্বর নস্কররা দেখতে পান বিশাল টাটকা বাঘের পায়ের ছাপ। চমকে ওঠেন তারা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর যায় কুলতলী থানা ও চিতুরি ফরেস্ট রেঞ্জে। বন দফতরের টাইগার রেসকিউ টিম ছুটে আসে। অনুমান করা হচ্ছে, বাঘটি আশ্রয় নিয়েছে কাঁটামারির একটি গেস্ট হাউসের ঝোপে। রায়দিঘি রেঞ্জার এডিএফও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। সঙ্গে চলে মাইকিং, নজরদারি।
advertisement
আরও পড়ুন: লঞ্চ থেকে এক লাফে নিজের ডেরায়! সুন্দরবনে মুক্ত রয়্যাল বেঙ্গল
বাঘবন্দি করতে রাতের দিকে পাতা হয় খাঁচা। অবশেষে সেই খাঁচা তে বাঘ বন্দী হয়ে যায়। বন দফতর জানিয়েছে, সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে বাঘ লোকালয়ে আসে। কিন্তু এবার চরম গ্রীষ্মেও যেভাবে বাঘ বার বার গ্রামে ঢুকে পড়ছে, তা উদ্বেগের। এই সময় বাঘের চলাচল অস্বাভাবিক। কুলতলীর জঙ্গলে ‘সাব-অ্যাডাল্ট’ বাঘের সংখ্যা হয়তো বেড়েছে, যারা নতুন বাসস্থানের খোঁজে বিচরণ করছে।’
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
কুলতলি সেভিং টাইগার সোসাইটির এক সদস্য বলেন, ‘একটি বাঘ যদি নির্দিষ্ট এলাকাতে বার বার ফিরে আসে, তাহলে বনবিভাগের উচিত বাঘটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা। আর এভাবেই বারে বারে লোকালয়ে বার ঢুকে পড়ছে। যদিও বাঘের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।
সুমন সাহা