#নবগ্রাম: হেরোইন ফেনসিডিল পর ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করার করিডোর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা।
৩৬ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুজনকে গ্রেফতার করল নবগ্রাম থানার পুলিশ। আসাম থেকে জলঙ্গি তে নিয়ে যাচ্ছিল ট্যাবলেট গুলি। বাংলাদেশ পাচার করাই উদ্দেশ্য ছিল। ধৃত দুই যুবকের বাড়ি জলঙ্গীতে। পাচারকারীরা ইয়াবা ট্যাবলেটের নতুন করিডোর হিসেবে জলঙ্গি সীমান্তকে ব্যবহার করছে বলে পুলিশের দাবি।
advertisement
জেলা পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, অসম থেকে এই ট্যাবলেট গুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে একটি গাড়ি আটক করে। সেই গাড়ি থেকেই ওই মাদক ট্যাবলেটগুলো পাওয়া যায়। দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মাদক কারবারের সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত তা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হবে।
জলঙ্গীর নরসিংহপুরের সনু ভাটিয়া ও রাকেশ চন্দ্র মন্ডল দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ইয়াবা ট্যাবলেট যেহেতু বহন করা সহজ ও বাংলাদেশের বাজারে এর চাহিদা প্রচুর তাই কিছুদিন ধরে এই মাদক ট্যাবলেটের ব্যবসা শুরু করেছিল এই দুই যুবক। সাধারণত মায়ানমার থেকে অসম হয়ে সড়কপথে জলঙ্গী দিয়ে বাংলাদেশ পাচার করা হয়।
জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল টিম ও নবগ্রাম থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গাড়িটিকে আটক করে। এরপরে গাড়ি থেকে ওই মাদক ট্যাবলেট গুলি উদ্ধার হয়। বাংলাদেশ সীমান্তে দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। বাংলাদেশের বাজারে এই ইয়াবা ট্যাবলেট চাহিদা প্রচুর ও পাচারকারীরা প্রচুর পারিশ্রমিক পায় বলে ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে। ধৃত দুই জনকেই বরমপুর জেলা জজ আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। জেলার পুলিশ সুপার বলেন, এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত মূল মাথা কারা জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে । সীমান্ত এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।