এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়ায় খড়দহের নাথুপাল ঘাট রোডে। ওই অধ্য়াপক অথবা তাঁর পরিবারের কাউকে অবশ্য় আটক করেনি পুলিশ। তবে পুলিশের অনুমতি না নিয়ে তিনি বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। ওই অধ্য়াপককে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য়ত্রও অভিযান চালাবে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ছাত্রছাত্রীদের কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকা নিতেন ওই অধ্য়াপক। সেই টাকাই রাখা ছিল ফ্ল্য়াটে। টাকার বেশিরভাগটাই ছিল ২০০০ টাকার নোটে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'তৃণমূল ওষুধের কোম্পানি, আমরা মেডিক্য়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ!' বললেন হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত প্রায় আড়াই বছর ধরে স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে খড়দহের ওই ফ্ল্য়াটে থাকতেন ওই অধ্য়াপক। কিন্তু কোনওদিন সন্দেহভাজন কিছু কারও চোখে পড়েনি। ফলে গতকাল অধ্য়াপকের বাড়িতে পুলিশি হানায় প্রতিবেশীরাও অবাক হয়ে যান।
সূত্রের খবর, ওই অধ্য়াপকের ফ্ল্য়াটে বিপুল অঙ্কের নগদ রয়েছে, এমন খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। তল্লাশির সময়ই ফ্ল্য়াটের ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ নগদের হদিশ পায় পুলিশ। টাকা গোনার জন্য় ব্য়াঙ্ক কর্মীদের আনা হয়। শেষ পর্যন্ত ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয় বলে খবর। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, মোটা টাকার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীদের কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য় এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পারলে তার বিনিময়ে ভুয়ো সার্টিফিকেট বের করে দেওয়ার নামেও টাকা নিতেন ওই অধ্য়াপক।