পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার মেমারি শহর জুড়ে তল্লাশি চালানো হয়। তারই জেরে বেটিং চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। তাদের জেরা করে আরও একজনের হদিশ মেলে। তিনজনকেই বুধবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। আদালতে তাদের পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানানো হয়েছে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের আরও বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
advertisement
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ষাট হাজার টাকা নগদ ও কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ওই টাকার হিসাব দিতে পারেনি তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে এবং অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই বেটিং চক্র চালানো হচ্ছিল। অনেকেই এই বেটিংয়ে অংশ নিতেন। ফোনের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হতো। বাড়ি থেকে লোক মারফত টাকা আদায় করা হতো। এই বেটিং চক্র বেশ কিছুদিন ধরেই সক্রিয় ছিল। ভোটে হারজিত থেকে শুরু করে বিশ্ব রাজনীতির অনেক কিছুই বেটিংয়ে উঠে আসতো। তবে আইপিএলের সময় তার রমরমা আরও বাড়ছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের ধারণা, এই বেটিং চক্রের জাল বহুদূর বিস্তৃত। এর শিকড় অনেক গভীরে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, কিভাবে এই চক্র চালানো হয় তা বিস্তারিত জানতে ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের।জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ বেটিং চক্র চলার ব্যাপারে গোপণ সূত্র খবর মেনে। এরপরই পুলিশ অভিযানের ছক তৈরি করে ফেলে। পরিকল্পনামাফিক অভিযান চালানো হয়। তাতেই ধরা পড়ে এই চক্রের তিন পান্ডা। তাদের মোবাইল ফোনে বেটিং চক্র চালানোর অ্যাপ ত ওয়েব সাইটের হদিস মিলেছে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।