করোনা মহামারীর জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। প্রশাসন মহামারীর মাঝে স্কুল খুলে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। তবে পড়ুয়াদের মাথায় চিন্তার শেষ ছিল না। পরীক্ষা, ভবিষ্যত্ চিন্তায় জেরবার ছিল পড়ুয়ারা। তবে প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল, করোনার দাপাদাপি কমার আগে স্কুল খুললে বড় বিপদ হতে পারে। ফলে দেশে ও রাজ্য়ে করোনার দাপট কিছুটা থিতিয়ে যাওয়ার পরই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তাতেও বিপদ এড়ানো গেল না!
advertisement
আরও পড়ুন- হলদিয়ায় আইওসি কারখানায় বিধ্বংসী আগুন! মৃত ৩, আহত অন্তত ৪২
রাজ্য সরকার জানুয়ারি মাস থেকে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলমুখো করার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কল্যাণীর জহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ঘটনা নতুন করে ভাবতে বসাতে পারে প্রশাসনকে। মহামারীর পর স্কুল খোলার এক মাসের মধ্যে একই স্কুলের ২৯ জন করোনা আক্রান্ত। এমন পরিস্থিতিতে কি প্রশাসন সামনের মাস থেকে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীকে স্কুলে পাঠানোর কথা ভাববে!
দিনদুয়েক আগে কল্যাণীর জহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের দুজন পড়ুয়ার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। জ্বর, কাশি, সর্দি থাকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের কল্যাণীর জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে করোনা টেস্ট করায়। দুই পড়ুয়ার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই দুই পড়ুয়া স্কুলে বাকিদের সঙ্গে মেলামেশা করেছিল। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সহায়তায় স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরে আরটি পিসি ক্যাম্প বসানোর উদ্যোগ নেয়।
আরও পড়ুন- কল্যাণীর গান্ধি মেমোরিয়াল হাসপাতালে আড়াই বছর পর হল ওপেন হার্ট সার্জারি
সব মিলিয়ে স্কুলের মোট ৩২৪ জনের করোনা টেস্ট করা হয়। তার মধ্যে ২৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সংক্রমিতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাতেও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ১৩ জন ছাত্র ও ১৬ জন ছাত্রী করোনা আক্রান্ত। স্কুলে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে। সেক্ষেত্রে একটা চিন্তার বিষয় রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। আজও বেশ কয়েকজনকে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।