নিজের কেন্দ্রের ভোটের দিন সকাল সকাল গ্রিন টি, সহযোগে রুটি তরকারি আর কলা দিয়ে প্রাতরাশ সারেন জ্যোতিপ্রিয়। বেরিয়ে পড়েন বুথ পরিক্রমায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাবাং মুডে দেখা গেল হাবড়ার এই হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থীকে। বুথে বুথে কার্যত ছুটে বেড়ালেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় আনলেন একাধিক অভিযোগও। কখনও দাবি করলেন বুথ দখল করা হয়েছে। কখনও আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে আঙুল তুললেন। এমনকি কিছুক্ষণ বুথের বাইরে বিক্ষোভ অবস্থানও দেখান জ্যোতিপ্রিয়। দাবি করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মারধর করেছে।
advertisement
তবে দিনের বাকি সময়টা অবশ্য বেশ হালকা চালেই কাটান মমতা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা। নিজের দলীয় কার্যালয় থেকে মাঝে মধ্যেই ফোনে ফোনে নিয়ে নেন ভোটের খবর। যেখানে দলীয় কর্মীদের যা নির্দেশ দেওয়ার সারেন ফোনেতেই। বেলা হতে জমিয়ে সারেন মধ্যাহ্নভোজ। মেনুতে ছিল পোস্ত বাটা, ডাল, রুটি আর কৈ-মাছের ঝাল। এরপরেই অবশ্য তাঁকে দেখা গেল এক অন্য মেজাজে।
বৈশাখের তপ্ত দুপুরে সূর্যদেব তখনও বেশ জোরালো। বুথে বুথে তখনও লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছেন হাবড়ার মানুষ। ভোট শেষ হওয়ার তখনও বাকি আরও ঘন্টা দুয়েক। সোফাতেই আয়েশ করে ঘুম দিলেন হাবড়ার তৃণমূল প্রার্থী, বিজেপির প্রার্থী রাহুল সিনহার প্রধান প্রতিপক্ষ, তৃণমূলের ডাকসাইটে 'দাবাং' নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
তবে কী ভোট নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েই শান্তির ঘুম দিলেন জ্যোতিপ্রিয়? প্রসঙ্গত তাঁর বিরুদ্ধে গেরুয়া দলের প্রার্থী রাহুল সিনহা গত দু-দুবার হেরে গিয়েছেন। তাঁর প্রচারে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে দল। এসেছেন স্বয়ং দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তা সত্বেও জ্যোতিপ্রিয়র এই পরম নিশ্চিন্তির ঘুম কী এই আসনে ঘাসফুলের জয়েরই ইঙ্গিত দিচ্ছে?
আবির ঘোষাল