স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাড়োয়ার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেংরামারী এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহীদ দিবস ভার্চুয়ালি ভাবে দেখার জন্য একটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। সেই প্যান্ডেলে ভার্চুয়ালি শহীদ সভা দেখার পর খাওয়া-দাওয়া করছিলে তৃণমূলের কর্মীরা। ঠিক সেই সময় ওই মোহনপুর অঞ্চলের অন্য এক তৃণমূলের বেশকিছু কর্মী ওই টেংরামারি এলাকার প্যান্ডেলে এসে তান্ডব চালায়। তখনই প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ।
advertisement
তারপরেই শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। গুলিতে ওই টেংরামারী এলাকার সন্ন্যাসী মন্ডল নামে বছর তিরিশের এক তৃণমূল কর্মী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সেই সঙ্গে গন্ডগোলের সময় দাঁড়িয়ে থাকা লক্ষী বালা মন্ডল নামে এক বৃদ্ধা মাথায় গুলি লাগে। তিনিও ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। সেইসঙ্গে নেপাল মন্ডল সহ প্রায় পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সঙ্গে সন্ন্যাসী মন্ডল ও লক্ষী বালা মন্ডল এর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। আহত ওই পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে হাড়োয়া হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মোহনপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি যোগেশ্বর প্রামাণিক ও মোহনপুর অঞ্চলের অঞ্চল কমিটির এক সদস্য তপন রায় এর মধ্যে মাঝেমধ্যেই গন্ডগোল লেগেই থাকত। গত কয়েকদিন ধরে মেছো ভেড়ি দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই বোমা-গুলি ছড়াছড়ি হত, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।এ ই দিন মোহনপুর পঞ্চায়েত এলাকার তৃনমুল নেতা তপন রায় দাবী করেন দলের লোকের হাতেই তাঁরা আজ আক্রান্ত হয়েছেন। দলের উচ্চ স্তরে বিষয়টি তিনি জানাবেন।এলাকা টি হাড়োয়া থানা এলাকার মধ্যে হলেও মিনাখাঁ বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত। আর এই এলাকায় একছত্র ক্ষমতা তৃণমূলের। আর সেই ক্ষমতা ও মেঝো ঘেড়ির কাঁচা টাকার দখলের লড়াই হল শহিদ দিবসে। আর তাতেই মারা গেল তৃনমুলের দুজন।এমনই শহিদ দিবস পালন করছে তৃণমূল কটাক্ষ বিজেপি নেতা শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের।
