প্রসঙ্গত, বুধবারই ব্যারাকপুরে প্রশাসনিক ভবনে স্ত্রী শুভশ্রীকে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। ঠিক একই সময়ে সেখানে মনোনয়ন জমা দিতে যান বীজপুরের বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়ও। দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা একই জায়গায় জড়ো হওয়ায় উত্তেজনা তৈরি হচ্ছিল। জয় শ্রীরাম আর জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে দু'পক্ষই। সেই সময়ই শুভ্রাংশু রায়ের গাড়ি লক্ষ্য করে যেমন ইটবৃষ্টি চলে, তেমনি রাজ চক্রবর্তীর ভাইকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই এক রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ। সেখান থেকে একটি ওয়ান শট রিভলবারও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
advertisement
স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মুখে ব্যারাকপুর অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মনোনয়ন পেশের সময় এত মানুষের জমায়েত কী করে হল, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। যদিও গোটা ঘটনার দায় তৃণমূলের উপরই চাপিয়েছে বিজেপি। তবে, তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, হার নিশ্চিত বুঝেই এরকমভাবে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। রাজ চক্রবর্তী বলেন, 'ওরা হারবে জেনেই এমনটা করেছে। বিজেপির লোকই যে গুলি চালিয়েছে, তা স্পষ্ট।'
এদিন মনোনয়ন পেশের আগে রাজ চক্রবর্তী বলেন, 'দিদি প্রার্থী করার পর প্রথমে মনে হয়েছিল চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। এখন মনে হচ্ছে প্রতিপক্ষে কেউ নেই। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই। এখনই মনে হচ্ছে জিতে গেছি।' অপরদিকে, এখনও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ না দিলেও রাজ-পত্নী তথা অভিনেত্রী শুভশ্রী জানিয়েছেন, 'যদি কোনও দলে যোগ দিতে হয়, তাহলে তা অবশ্যই দিদির দলেই হবে।'