মায়ের নাম শেফালী নাথ। কিছুদিন আগে শ্বাসকষ্টের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়েছিল তাঁর, মেলেনি অক্সিজেন। তবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। শেফালী নাথের মেজো ছেলে থাকেন বিদেশে। যোগা-র শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে থাকেন। নাম রোমিও নাথ। মায়ের এই অবস্থা তাঁকে বিচলিত করে। তাই তড়িঘড়ি পাঁচটা অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠান গোবরডাঙায়। শুধুমাত্র নিজের মায়ের জন্যই নয়, সমগ্র গোবরডাঙাবাসীর জন্য তিনি এই কনসেন্ট্রেটর পাঠান, যাতে কিছুটা হলেও অক্সিজেনের এই চাহিদা মিটতে পারে। এই পাঁচটা অক্সিজেন কনসেনট্রেটের মধ্যে চারটে গোবরডাঙা পৌরসভার চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
বাবা শ্যামল নাথ আরপিএফ-এ কর্মরত ছিলেন । ১০ বছর আগে অবসর নিয়েছেন তিনি। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে দমদমে গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে নিযুক্ত । ছোট ছেলে মুদির দোকানে কর্মরত। আর মেজো ছেলে থাকেন তুরস্কে । রোমিও-র এই অবদানে তাঁরা যথেষ্ট খুশি এবং ছেলের এই ছোট্ট প্রয়াসে যদি কিছুটা হলেও গোবরডাঙার মানুষের সমস্যার সমাধান হয় তাতেই সন্তুষ্ট রোমিওর বাবা-মা। আগামী দিনে পৌরসভার উদ্যোগে অক্সিজেন পার্লারের আয়োজন করা হবে বলে জানা গিয়েছে এবং এই কনসেন্ট্রেটরের মাধ্যমে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান।
