এছাড়া এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বানতলায় ৫ লক্ষ চাকরি হয়েছে। অন্য রাজ্য থেকেও মানুষ চাকরি করতে আসছেন বলে তিনি জানান। মমতা বলছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা এটা। ৯৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ করেছে আমাদের সরকার। ফলে আপনাদের ছেলেমেয়েরা মানুষ তৈরি হচ্ছে। কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ডাক্তার, কেউ আইপিএস। সবার জন্য কাজ করা হয়েছে।
advertisement
বিজেপিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, বিজেপিকে হঠাতে হবে। হিন্দু মুসলিম ভাগাভাগি করা চলবে না। তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। অনেকে বলেন আমি নাকি মুসলিমদের তোষণ করি। আমি দুজনকেই ভালোবাসি। আমি আছি বলেই হিন্দু ও মুসলিম দুজনেই ভালো আছে।
এরপরেই বিজেপির সঙ্গে সিপিএম কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মমতা। সঙ্গে নাম না করে আইএসফ কেও কটাক্ষ করেন তিনি। মমতা বলছেন, বিজেপির বন্ধু আছে দুটো। একটা সিপিএম, একটা কংগ্রেস। আর একটা এসেছে, জীবনে মানুষকে দেখেনি। সংখ্যালঘুর ভোট কাটতে আসছে। তিনি নাকি হঠাৎ করে বিজেপির টাকায় নেতা হয়ে গিয়েছে। সংকীর্ণ, সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রাখছে। কই আমি তো বলছি না। আমায় হিন্দুও ভুল বোঝে না, মুসলমানও ভুল বোঝে না। টাকা নিয়ে বিজেপি হয়েছে। এদের জন্য উত্তরপ্রদেশে অখিলেশরা হারল। এদের ঢুকতে দেবেন না।
এর পরেই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলছেন, ওদের একটাও ভোট নয়। ওর ভোট পাওয়া মানে বিজেপির ভোট পাওয়া মনে রাখবেন। এর পরেও একের পর এক বাক্যবাণে আইএসফ ও আব্বাস সিদ্দিকিকে আক্রমণ করেন মমতা।
প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্র বিধানসভা নির্বাচনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই কেন্দ্রে প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও সমস্যা হয়েছিল। প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ফেলেছিলেন আরাবুল ইসলাম। যদিও পরে তিনি মিটমাট করে নেন। আজ মমতার সভামঞ্চতেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।