অবশ্য মঞ্চ পুড়ে গেলেও ছক ভাঙলেন লাভলি। বৃষ্টি মাথায় খোলা জায়গাতেই সভা করলেন নব্য বিধায়ক। মঞ্চ পোড়ানো নিয়ে একটিও কথা শোনা গেল না তাঁর মুখে। বরং সরব হলেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর তোলাবাজি নিয়েই। আমি রাজপুর সোনারপুর কোন তোলাবাজি করতে দেব নাস খোলামঞ্চ থেকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন লাভলি। তাঁর হঁশিয়ারিতে প্রশ্ন উঠল, বিধায়কের মঞ্চ পোড়ানোর পিছনে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই রয়েছে?
advertisement
এদিন তিনি বলেন, "রাজপুর সোনারপুরে তোলাবাজি করতে দেবো না, দুএকটি লোকের আমার পছন্দ নাও হতে পারে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।" সোনারপুরে অনুষ্ঠানের আগেই সভা মঞ্চ পুড়িয়ে দেওয়ায় এবার ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনই মন্তব্য করলেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়িকা লাভলী মৈত্র। দলেরই এক অংশের বিরুদ্ধে কার্যত হুশিয়ারি দিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে আনলেন তিনি।
সুযোগে খোঁচা দিতে ছাড়লেননা দক্ষিণ ২৪ পরগণা পূর্ব জেলার বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস। তিনি বলেন, "তৃণমূল যে তোলাবাজি করেন তা স্বীকার করেছেন এই নতুন বিধায়ক। দুদিন পরে উনিও ওই তোলাবাজির দলে ভিড়ে যাবেন।" স্বাভাবিক ভাবে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূল নেতৃত্বের।
-প্রতিবেদক অর্পন মণ্ডল