যদিও ধনপতি সওদাগর শৈব ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই শ্মশানের মা কালীর পুজো দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন। প্রতিবছরেরই রীতি এটি। তবে শ্মশানের ভিতরে ঢুকতে হয় খুব সাবধানে। একে তো অমাবস্যার রাত। অন্যদিকে সবাই বলেন আত্মারা জেগে ওঠে। হাঁটতে হাঁটতে ভিতরের দিকে গেলে হঠাৎ করে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে কোনও পেত্নী। কোনও ভাবে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে গেলে আবার দেখবেন, বসে রয়েছেন যম দূত। প্রথম থেকেই মা কালী দর্শন করতে গিয়ে ভূতেদের সঙ্গে একটা লড়াই করতে হয়। সব কাটিয়ে তারপরে দেখা মেলে মায়ের।
advertisement
আরও পড়ুন- বর্ধমানে রাতারাতি তৈরি জোড়া বুর্জ খলিফা! শ্রীভূমির জনপ্রিয়তা দেখেই উদ্যোগ পুজো কমিটির
শ্মশানের ভিতরে হয়তো দেখবেন উপর থেকে একটা ভূত হাত বাড়াচ্ছে আপনার দিকে। কোনও ভূত আবার হনুমানের মতো গাছের ডালের, এপাশ থেকে ওপাশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে বাচ্চাদের নিয়ে গেলে মজা পাবেন বটে, কিন্তু বাড়িতে এসে সামলানো মুশকিল হবে। আর বেশ কয়েকদিনের গল্পের রসদ পাবেন। অনাড়ম্বর এই পুজো। পুজো উদ্যোক্তাদের ব্যয় বহন করার তেমন কোনও ক্ষমতা নেই বটে।
আরও পড়ুন- শ্রীভূমির পরে এবার 'বুর্জ খলিফা' উত্তরবঙ্গে! ফের কোভিড বিধি ভুলে মানুষের ঢল মণ্ডপে
তবে শ্মশানকালীর আরাধনায় কোনও ত্রুটি রাখেনি তারা। আজ শুক্রবার দুপুরবেলা ভোগের আয়োজন করেছে পুজো কমিটির সবাই। প্রতিবারই সেই ভোগের দিকে সারা এলাকার মানুষজন তাকিয়ে থাকেন। ভোগকে পরমান্ন হিসাবে সবাই গ্রহণ করেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের পুজো শুরু হয়। অন্যদিকে পূর্বসূরীদের জন্য মোমবাতি,প্রদীপ জ্বালানোতেও ব্যস্ত ছিলেন প্রচুর মানুষ। সন্ধার পরে ঢুকলেই মনটা পরিবর্তন হয়ে যায় বলছেন দর্শনার্থীরা।
Shanku Santra
