প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ওই যুবক নিজেকে কখনও আইপিএস অফিসার, আইবি অফিসার আবার কখনও রাজ্য পুলিশের কর্তার নকল পরিচয় পত্র দেখিয়ে বিভিন্ন শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখাত। ইতিমধ্যে ১২ থেকে ১৫ জন যুবকের কাছ থেকে সে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককেই পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: মারাত্মক অভিযোগ, একজন নন-যাদবপুরের অধ্যাপকের 'শিকার' বহু ছাত্রী!
প্রতারিত যুবক সঞ্জীব আমিন, তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নেয় বিল্লা গাজী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সকালে বাকি বিল্লা গাজীকে গ্রেপ্তার করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। ধৃত যুবককে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এর সঙ্গে কোন বড় চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা, তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বারুইপুরে ভুয়ো সিআইডি অফিসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে কখনও নিজেকে সিআইডি অফিসার, আবার কখনও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক বলে পরিচয় দিত। বিশেষত অল্প বয়সী মহিলাদের কাছে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে চাকরির দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করত ওই অভিযুক্ত। শেখর গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে বোর্ড অফ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য বলে পরিচয় দিতেন বলে জানা গিয়েছে। আবার কখনও সখনও ভিজিল্যান্সের ডিজি পদমর্যাদার অফিসার বলেও পরিচয় দিতেন। পরিচয় ভাঁড়িয়ে অল্প বয়সী মেয়েদের নিজের ফাঁদে ফেলতেন তিনি। তারপরে পুলিশে ভালো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার নামে প্রতারণাও করতেন। ২০১৬ সালেও গড়িয়াহাট থানায় প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে ধরেছিল পুলিশ।
