এখানে দেখতে পাবেন সুন্দরবনের বিদ্যাধরী নদী, ম্যানগ্রোভ জঙ্গল, ওয়াচ টাওয়ার, কুমির, বাদর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এমনকী ভাগ্য সহায় থাকলে, যে কোনও মর্হূতে দেখা মিলতে পারে বাদাবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারেরও। যেহেতু এই জঙ্গলে রেয়েছে মিষ্টি জলের পুকুর, তাই এই পুকুরে প্রায় সময় জল খেতে আসে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। অনেক পর্যটক রাতে বাঘের গর্জনও শুনতে পেয়েছেন। সন্ধ্যা নামলেই গা ছমছমে পরিবেশে, অদ্ভুত এক অনুভূতির সাক্ষী থাকতে পারবেন আপনিও।
advertisement
এমনকি পাখিরালয় জেটিঘাট থেকে লঞ্চ এবং বোটে নদী পথে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ভ্রমনের ব্যবস্থাও রয়েছে। সজনেখালিতে থাকা খাওয়ার জন্য আছে জেলা পরিষদের বাংলো, বিভিন্ন হোটেল ও লজ। খোঁজ করলে এখানেই পেয়ে যাবেন সুন্দরবনের খাঁটি মধু। তবে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা না করে, এদিক ওদিক যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: পুজোয় পর্যটকদের জন্য সুখবর, খুলে গেল সুন্দরবন পর্যটন
হাতে সময় অল্প থাকলে, একদিনেই ঘুরে যেতে পারেন সজনেখালির এই ভ্রমণ স্থল। সকালে গিয়ে আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসতে পারবেন অতি সহজেই। জেলা সদর আলিপুর থেকে সজনেখালির দূরত্ব প্রায় ৯১ কিলোমিটার। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ক্যানিং পর্যন্ত ট্রেনে সময় লাগে এক ঘন্টা কুড়ি মিনিট এবং ক্যানিং থেকে সজনেখালি ইকো ট্যুরিজম পর্যন্ত সড়ক পথে সময় লাগে এক ঘন্টা তিরিশ মিনিট এবং গদখালি থেকে গোসাবা নদী পার হতে সময় লাগে পনেরো মিনিট। সেখান থেকে পাখিরালয় টোটোতে সময় লাগে আরো পনেরো মিনিট। এরপর, আবার নৌকায় সজনেখালি জেটিঘাটে সময় লাগবে দশ মিনিট। ফলে অনায়াসে ভ্রমন করে আসতে পারে সুন্দরবনের সজনেখালি ইকো ট্যুরিজমে।
রুদ্র নারায়ণ রায়