সূত্রের খবর, মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সাথেও তারা দেখা করতে পারেন। ৭ সদস্যের এই কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্বে আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার আধিকারিক এস কে শাহী। এছাড়া কৃষি, বিদ্যুৎ, পরিবহণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরের আধিকারিকরা রয়েছেন এই প্রতিনিধি দলে। আজ দুটি দল রওনা হবে দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। হেলিকপ্টারে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ একটি দল যাবে পাথরপ্রতিমায়৷ প্রায় ১ ঘন্টা জলপথে পরিদর্শন করবেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। তার পর পাথরপ্রতিমায় তারা আধিকারিক দের সাথে বৈঠক করবেন। অপর একটি দল সড়ক পথে যাবে গদখালি। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় দল যাবে গোসাবায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা তারা পরিদর্শন করবেন। বিকেল ৩.৩০ নাগাদ গোসাবাতে একটি বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় দল। তারপর কলকাতায় ফিরবে তারা। অপর একটি দল সড়কপথে আগামীকাল রওনা হবে পূর্ব মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে দুপুর ১২টা নাগাদ তারা একটি বৈঠক করবেন।
advertisement
রাজ্যের তরফ থেকে সাইক্লোন নিয়ে একটি রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে তাদের হাতে। তারপর কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শন করবে দীঘা-মন্দারমণি-তাজপুর। সূত্রের খবর বুধবার কেন্দ্রীয় দল নবান্নে বৈঠক করবেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে এই বিষয়ে পর্যালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলা ও ঝাড়খন্ডের জন্যে ৫০০ কোটি টাকার অর্থ সাহায্য করা হবে বলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে দরকার মতো সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এখন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শনের পরে যে রিপোর্ট দেবে তার ওপরেই নির্ভর করবে রাজ্য, কেন্দ্রের থেকে কত অর্থ সাহায্য পাবে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী এর আগেই প্রধানমন্ত্রীকে আর্থিক ক্ষয় ক্ষতির হিসেব জমা দিয়েছেন। দীঘা ও সুন্দরবনের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ চেয়েছিলেন। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "আমাদের তেমন কোনও দাবি নেই। আপনি যা ভালো বুঝবেন দেবেন।" ক্ষয় ক্ষতির সেই হিসেব করবে এই কেন্দ্রীয় দল।