সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রদীপবাবু সাপের ডিম বলেই সনাক্ত করেন। ওই স্থান থেকে ডিমগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। প্রদীপবাবু একটি নিরাপদ স্থানে, ডিমগুলিকে খড় কাগজের টুকরোর মধ্যে সযত্নে রাখেন। এরপর দিন কয়েক পর্যবেক্ষণ চালাতে থাকেন। বেশ কিছুদিন অপেক্ষা শেষে ডিম ফুটে বেরিয়ে আসে নবজাতক সাপগুলি। দেখা যায় এগুলি গোখরো বা স্পেকটেকলড কোবরা।
advertisement
এ প্রসঙ্গে শিক্ষক প্রদীপ রঞ্জন রীত বলেন, “দীর্ঘদিন ডিমগুলোকে যত্নসহকারে সংরক্ষণ করতে হয়েছে। অবিরাম পর্যবেক্ষণ চালিয়েছি। ধৈর্য হারা হইনি। অবশেষে ২২টি ডিমের প্রত্যেকটি থেকেই বাচ্চা জন্মেছে। এদের নড়াচড়া,চলন দেখে মনে হয়েছে প্রতিটি সুস্থ ও সবল। তিনি জানান, বাসস্থানের সঙ্কট এবং মানুষের পিটিয়ে মারার ফলে গোখরোর সংখ্যা এখন খুব কমে গিয়েছে। জীববৈচিত্রে সাপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।পরিবেশের সুরক্ষায় এদেরও বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।
এদের পুনর্বাসনের জন্য, গোখরোর ছানাগুলিকে বন দফতরে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সাপ সম্পর্কে সমাজে দরকার সচেতনতা। গ্রামের সকল মানুষের স্থানীয় সাপেদের চিনে রাখা প্রয়োজন। সাপ নিয়ে দরকার সাবধানতা, আতঙ্ক নয়। এমনটাই জানাচ্ছে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি।