পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা পশ্চিম চ্যাংদানা গ্রামের সাজিদ গত বৃহস্পতিবার জ্বরে আক্রান্ত হয়। জ্বরে ছোট শিশুর চোখ টকটকে লাল হয়ে গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই তা দেখে ভয় পেয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ওই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারায় গ্রামের এক আশাকর্মীকে ফোন করে জানান শিশুটির মা। আশাকর্মীর কথা মতো প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সংসারে অশান্তি থামছেই আছে, হওয়া কাজ পণ্ড হচ্ছে, নেতিবাচক শক্তি দূর করে লবঙ্গের ছোট্ট ব্যবহার
শিশুর মা তনুজা বিবি জানান, শুক্রবার সকালে ফের জ্বর বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বনাথপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রক্ত পরীক্ষা করান চিকিৎসক। এ দিনই অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে তড়িঘড়ি বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক। সেখান থেকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে রেফার করেন বারাসত জেলা হাসপাতাল। শুক্রবার থেকে টানা ৩ দিন শিশুটি কোমায় থাকার পর রবিবার রাতে সেখানে মৃত্যু হয়।
সোমবার সকালে শিশুর দেহ দেগঙ্গার বাড়ি নিয়ে এলে শোক ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। চ্যাংদানার ওই গ্রামে বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তার মধ্যে এক যুবকের ডেঙ্গি পজেটিভ বলেও জানা গিয়েছে।
জিয়াউল আলম