অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল এই চক্র। দুবাই, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা চালাত তারা। প্রথমে ধরা পড়ে হিঙ্গলগঞ্জের কুলের মাঠ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ গাজী। তাকে জেরা করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য — এই পুরো প্রতারণা চক্রের মূল হোতা চিরঞ্জিত ঘোষ। সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হামিদ গাজী কলকাতা, বসিরহাট, বারাসত, হাসনাবাদ-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিত এই চক্র। ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রথমে আব্দুল হামিদকে গ্রেফতার করা হয়, এরপর তার বয়ান ও মোবাইলের সূত্র ধরে গাইঘাটা থেকে ধরা হয় চিরঞ্জিত ঘোষকে।
advertisement
তল্লাশি চালিয়ে চিরঞ্জিতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ও বিভিন্ন দেশের নথিপত্র। পুলিশি সূত্রে খবর, অভিযুক্তের মোবাইল ফোনে একাধিক ব্যক্তির পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য এবং আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা এলাকার সেলিম লস্করও এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের হয়েছে।
চিরঞ্জিত ঘোষকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়, যেখানে পুলিশ তার সাত দিনের হেফাজতের আবেদন জানায়। পুলিশ এখন এই চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় এমন একটি প্রতারণা চক্র সক্রিয় ছিল। অবশেষে পুলিশি তৎপরতায় সেই চক্রের মূল হোতারা ধরা পড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বহু প্রতারিত ব্যক্তি।
