সেই সংঘর্ষে তাদেরই আত্মীয়ের মৃত্যু হয়। বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানায় সেই সময় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলাতেই যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেয় বীরভূম জেলা আদালত। তখন থেকেই বীরভূমের সিউড়ি জেলা সংশোধনাগারেই ছিলেন ওই দুই ব্যক্তি।
শনিবার তাদের হাতে জেলা সংশোধনাগার থেকে মুক্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়। এরপরই জেলা সংশোধনাগার থেকে তারা তাদের নিজের বাড়ি বোলপুরের দিকে রওনা দেয়। প্রায় ১৬ বছর তারা বীরভূম জেলা সংশোধনাগারে কাটিয়েছে। এই সময় তারা শ্রমিকের কাজ করেছে সংশোধনাগারেই। সেই থেকে টাকাও উপার্যন করেছে। হারা সোরেন উপার্জন করেছে ৭৩ হাজার টাকা ও গোবিন্দ সোরেন উপার্জন করেছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা।
advertisement
হারা সোরেন অবশ্য নিজের উপার্জন করা বেশিরভাগ টাকাই খরচ করেছে। তাদের উপার্জন করা টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। অবশ্য এর আগে হারা সোরেন ১৪ মাস পেরোলে জেলা সংশোধনাগার থেকে নিজের বাড়িতে কাটিয়ে এসেছে। নিয়ম অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ১৪ বছর কোনও সংশোধনাগারে সময় কাটিয়ে নিলে সেই আসামি নিজের মুক্তির জন্য আবেদন করতে পারে।
সেই মতোই এই মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিরাও আবেদন করেছিল রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে এই নিয়মে অনেক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে।
আরও পড়ুন, দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্য়াস ট্য়াঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, হতাহত বহু! দগ্ধ হয়ে রাস্তায় ছুটছেন মানুষ
আরও পড়ুন, বড়দিনের আনন্দে বড় কোপ! সঙ্গী খারাপ আবহাওয়া? জানুন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
সেই মতো বীরভূমের সিউড়ি জেলা সংশোধনাগার থেকেও ২০২২ সালের ১৫ই অগাস্টের আগে ১ জন মহিলা সাজাপ্রাপ্ত আসামি-সহ মোট ৪ জন আগেই মুক্তি পেয়েছে। এবার এই দুই ব্যাক্তি মুক্তি পেল। সিউড়ি জেল সূত্রে খবর, ওই দুই আসামির ব্যবহারও ভাল ছিল জেলবন্দি থাকাকালীন।