বছরের শুরুতেই বাঙালি যখন পিকনিকে ব্যস্ত সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উত্তর চব্বিশ পরগনার ঈশ্বরীগাছা এলাকায় দেখা গেল চোরা শিকারিদের আনাগোনা। শনিবার দুপুরে স্থানীয় কিছু যুবকের নজরে আসে পাখি ধরার জন্য স্থানীয় একটি বাঁশ বাগানে জাল দিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে ফাঁদ পেতেছেন দুই চোরাশিকারি। এই খবর চাউর হতেই স্থানীয় যুবকরা তৎপরতার সঙ্গে শিকার করা ৬০টি পরিবেশ বন্ধু জঙ্গল বাবলা (স্থানীয় নাম ছাতার পাখি) এবং ফাঁদ পাতার জন্য ব্যবহার করা একটি পেঁচা-সহ ২ চোরাশিকারিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর এলাকার একটি ক্লাবে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্মীরা এসে পাখি ধরার কাজে ব্যবহার করা জাল, একটি পেঁচা, সাইকেল এবং ৬০টি পাখি উদ্ধার করেন। যদিও ততক্ষণে পাখি শিকারিদের বস্তার মধ্যেই মারা গিয়েছে ৪৫টি পাখি।
advertisement
আরও পড়ুন: একই অঙ্গে নানা রূপ! নেতা নন, 'ওহ লাভলি' গেয়ে মঞ্চে ঝড় তুললেন 'শিল্পী' মদন মিত্র
জানা গিয়েছে, পাখি শিকারের দায়ে আটক করা হয়েছে অশোকনগর বাগপুল এলাকার বাসিন্দা গোপাল বৈদ্য এবং সাধন বিশ্বাস নামে২ চোরাশিকারিকে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা স্কুল শিক্ষক প্রলয় চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'বছরের প্রথম দিনে এতগুলো পাখির মৃত্যু মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তবুও চোরাশিকারিদের হাত থেকে অন্তত কিছু পাখিকে তো বাঁচানো গিয়েছে। অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তি চাই।' বারাসাত এস এফ রেঞ্জের বিট অফিসার সুজয় হালদার স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'এটি জঘন্য অপরাধ। এর জন্য সাত বছরের জেল হতে পারে। তবে অভিযুক্ত দুই চোরাশিকারি আমাদের ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন শুধুমাত্র মাংস খাওয়ার জন্যই এই পাখি শিকার করছিল তারা। তবে প্রশ্ন উঠছে যে পাখির ওজন ৫০ গ্রামও ন্য, সেই পাখির মাংস খাওয়ার জন্যই এই শিকার নাকি এর পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে!
Jiaul Alam