শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার কে শাবেরী রাজকুমার বলেন, ধৃতদের নাম মান্নান সেখ ও মুরসেলিম সেখ। দুজনের বাড়ি জলঙ্গী থানা এলাকায়। মান্নান সেখ বিহারের ভাগলপুর থেকে এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র গাড়িতে করে নিয়ে আসছিল মুর্শিদাবাদে পাচারের উদ্দেশ্যে। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তখনই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত জানুয়ারি মাসে জলঙ্গী থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র পাচারকারী দলকে। সেই ঘটনার সঙ্গে এইদিনের আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরভোটের ফলের পরই একটা ছোট্ট ট্যুইট, তাতেই শোরগোল ফেললেন লকেট! তাহলে কি...
ধৃতদের বহরমপুর জেলা জর্জ আদালতে তোলা হলে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই আগ্নেয়াস্ত্র পাচার চক্রে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত তা অভিযুক্তদেরকে হেফাজতে নিয়ে। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। অস্ত্রগুলি কাদের কাছে দেওয়ার কথা ছিল তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের অভিযানে গত ২ মাসে ৪২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ২০২১ সালে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের তৎপরতায় ১৯৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৭৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ অভিযান চালিয়ে বহরমপুর থানার কদবেলতলা এলাকা থেকে ২জন আগ্নেয়াস্ত্র পাচারকারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক প্ল্যান্টে হামলা রাশিয়ার! এবার ভয়াবহ বিপর্যয়? হার মানবে চেরনোবিল?
তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৭টি সেভেন এম এম পিস্তল, ১৪টি ম্যাগাজিন ও ৩২টি গুলি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার কে শাবেরী রাজকুমার বলেন, ধৃতদের নাম মান্নান সেখ ও মুরসেলিম সেখ। দুজনের বাড়ি জলঙ্গী থানা এলাকায়। মান্নান সেখ বিহারের ভাগলপুর থেকে এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র গাড়িতে করে নিয়ে আসছিল মুর্শিদাবাদে পাচারের উদ্দেশ্যে।