গণবিবাহ উপলক্ষে এদিন একরকম মেলার রূপ নিয়েছিল বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালীমাতা মন্দির সংলগ্ন মাঠ। তার আগে একশো একুশ জন বরকে নিয়ে নানান বাজনা-সহ বিশেষ শোভাযাত্রা বর্ধমান শহর পরিক্রমা করে। টোটোয় চেপে শোভাযাত্রার সঙ্গে বর্ধমান টাউনহল থেকে কাঞ্চন নগরে কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির মাঠে পৌঁছয় বরেরা।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, অনেকেই আর্থিক কারণে আড়ম্বরের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে পারে না। তাদের কথা মাথায় রেখে গত দশ বছর ধরে গণবিবাহের আয়োজন করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন- বিয়ের পরই চোখে জল ‘নববধূ’ সন্দীপ্তার! কারণটা কী? শুনলে আঁতকে উঠবেন
বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগরে কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির লাগোয়া মাঠে অনুষ্ঠিত হল এই গণবিবাহ। তাকে ঘিরে এদিন সকাল থেকেই উৎসব মুখর হয়ে উঠেছিল বর্ধমানের কাঞ্চননগর। শুধু রীতি মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান নয়, ছিল বরযাত্রী কনেযাত্রীদের আপ্যায়ন, তাঁদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার বিপুল আয়োজনও। সব মিলিয়ে সন্ধ্যায় মেলার রূপ নেয় গণবিবাহের মাঠ। শুধু বিয়ের আয়োজনই নয়, নব দম্পতির জন্য ছিল খাট বিছানা আলমারি, সোনার আংটি, নাকের নথ, সেলাই মেশিন, সাইকেল, টিভি থেকে শুরু করে এক মাসের সংসার চালানোর যাবতীয় সামগ্রী।
এছাড়াও তাদের জীবন বিমা করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা যাতে তারা পেতে পারেন তার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সব মিলিয়ে এমন বিয়ের আয়োজনে আপ্লুত বর-কনেরাও। তাদের অনেকের কাছেই বিয়ে ছিল এতদিন অনিশ্চয়তার আর এক নাম। এভাবে যে তা পূর্ণতা পাবে তা ভেবে উঠতে পারেননি তাঁরা। বরযাত্রীর পাশাপাশি এসেছিল কনেযাত্রীও। সব মিলিয়ে অনুষ্ঠিত হল স্বপ্নের মতো বিয়ে।