বয়ে যাওয়া রূপনারায়নের পাড়ে প্রতি বছরের মতো আজও বিভিন্ন ঘাটেই শুরু হয়েছিল তর্পণ ও পূণ্যস্নান পর্ব। তার মধ্যেই আজ নদীঘাট সংলগ্ন কোলাঘাট সংকেত এবং ছাত্র সংঘের পঞ্চাশতম শারদীয়া উৎসবের সূচনা হয়ে গেল ভিন্নধর্মী এক আয়োজনের মাধ্যমে। মায়ের আরাধনা উপলক্ষে ১০০ জন মানুষ আজ অঙ্গীকার করলেন সমাজের স্বার্থে দেহদান করার।
আরও পড়ুন- গঙ্গায় কুমির! পাহারা দিতে যা করলেন মন্ত্রী... অবিশ্বাস্য ঘটনা কালনায়
advertisement
আজ মহালয়া। এলাকার বহু মানুষ স্মৃতি তর্পণ করেই এদিনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। কোলাঘাটের বাসিন্দা মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী গৌরাঙ্গঘাটে স্মৃতি তর্পণ করেন। তার পর এই পুজোয় অংশ নেন। পঞ্চাশ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে আগমনী অনুষ্ঠানও হয়। একশো মানুষ মরণোত্তর দেহদানের প্রস্তাবে স্বাক্ষরও করেন।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে এবং সংস্কারের বেড়াজাল ভেঙে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই মরণোত্তর অঙ্গদানের অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করেন তাঁরা।
এদিন অতিথিদের সঙ্গে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্বলন করেন সাফাইকর্মী হরিজন পল্লীর বস্তিবাসী হতদরিদ্র এক মহিলা। নাম সরস্বতী। মাস দুয়েক আগেই সরস্বতীর স্বামী সুকদেবের মাত্র ৫২ বছর বয়সে হঠাৎই মৃত্যু হয়।
সরস্বতী সেই শোকের মাঝেও তাঁর স্বামীর প্রানহীন দেহের দুটি চোখের কর্নিয়া দান করেন। হতদরিদ্র সাফাইকর্মী গৃহবধূর দৃষ্টান্ত স্থাপনকে শ্রদ্ধা জানাতেই পুজো উদ্যোক্তারা তাঁকে সম্মানিতও করেন। আজ তিনিও মরনোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেন।
আরও পড়ুন- স্বামীর নামে যে হাতে শাঁখা -পলা পরেন, স্ত্রী-র সেই হাতই চপার দিয়ে কাটার চেষ্টায় স্বামী...
সব মিলিয়ে সামাজিক উৎসবের মধ্য দিয়েই আনন্দ উৎসবের সূচনা হয়ে গেল রূপনারায়ন পাড়ের শহর কোলাঘাটে।
