এমনকি লেখা ইংরাজিটি অনুবাদেও শহিদকে অপরাধী বলা হয়েছে। লেখা হয়েছে, “যদিও অপরাধী কানাইলাল ছিলেন, বিমল গুপ্ত ছিলেন না। যা অনেক পরে জানা যায়।”
আরও পড়ুন : মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর! অবশেষে দাম কমল টমেটোর! আজ থেকেই নতুন রেট চালু! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
জয়নগর মজিলপুরের মানুষ বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য রাইটার্স বিল্ডিং-র অলিন্দ যুদ্ধের অন্যতম নায়ক বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তের ফাঁসির আদেশ যিনি দিয়েছিলেন সেই বিচারক গার্লিককে ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই আলিপুর কোর্টের মধ্যে কর্মরত অবস্থায় হত্যা করে শাস্তি দিয়েছিলেন। হত্যার পর তিনি পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে কোর্টের মধ্যে আত্মহত্যা করেন। তাঁর পকেটে পেডি হত্যার নায়ক মেদিনীপুরের বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্তের নামাঙ্কিত চিরকুট রাখা ছিল। এই চিরকুট লিখে তিনি পুলিশের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্তের প্রাণ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
advertisement
আত্মত্যাগের এ এক অপূর্ব নিদর্শন। স্বাধীনতা সংগ্রামে আপসহীন ধারার বহু বিপ্লবীর এমন আত্মবলিদানের ইতিহাস আছে যা আমাদের প্রেরণা যোগায়। তেমন একজন বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য।
এ প্রসঙ্গে জয়নগর হেরিটেজ কমিটির সম্পাদক তথা জয়নগর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ কান্তি নস্কর বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে একজন বিপ্লবী এবং শহীদ ছিলেন তিনি যেভাবে আত্মবলিদান করেছিলেন সেটা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভূতপূর্ব। তাঁকেই এভাবে রাজ্য সরকার তার নতুন মিউজিয়াম বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যকে ‘অপরাধী’ বলে নামাঙ্কিত করল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং অবিলম্বে ওই প্রদর্শনীর বিষয়বস্তু সংশোধন করার দাবি করছি।”
সুমন সাহা