আর সেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার পর এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে রহস্য ভেদ করলেন ডায়মন্ড হারবারের এস ডিপিও মিতুন কুমার দে।তিনি বলেন, 'হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার মোল্লাহাট এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সিং ইটের ব্যবসা করতেন। সে মতই তার সঙ্গে নামখানা এলাকার লালপোলের বাসিন্দা নিউ লোকনাথ বিল্ডার্সের প্রোপাইটার রাধাকৃষ্ণ মান্নার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।
advertisement
এমনকি ব্যবসায়িক লেনদেনে রাধাকৃষ্ণ মান্নার কাছে তিনি ৩ লক্ষেরও বেশি টাকা পেতেন। তাই ধার পরিশোধ করতে রাধাকৃষ্ণ মান্না ১ টাকার কয়েন ভর্তি ১২৫ বস্তা টাকা বিশ্বজিৎ সিংকে প্রদান করে। এমনকি প্রতিটি বস্তায় ২.৫ হাজার টাকা করে কয়েন ছিলো বলে জানায় তিনি। এই টাকা নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এলাকার এক ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছিলো যে ঠিকাদারের কাছে টাকা পেতেন রাধা কৃষ্ণ মান্না।
আরও পড়ুন: ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জাদুকর! যৌবন থাকবে টান-টান! শুধু জানতে হবে ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
সেই ঠিকাদার খুচরো এক টাকার কয়েন দিয়ে রাধাকৃষ্ণ মান্নার টাকা পরিশোধ করলে সেই টাকা রাধাকৃষ্ণ মান্না বিশ্বজিৎ সিংকে পরিশোধ করেন। সেই মর্মে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি লিখিত পত্র দেওয়া হয়।এর পরেই বিশ্বজিৎ সিং সেই বস্তাভর্তি কয়েনগুলি নিয়ে যখন নৈনান ঘাট থেকে ভুটভুটি চেপে হাওড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন সেই সময়ই এলাকার বাসিন্দারা এত টাকা দেখে সন্দেহ করে রামনগর থানার পুলিশকে খবর দেন।পরে রামনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে বিশ্বজিৎ সিংকে টাকাসহ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেন পুলিশ।অবশ্য এই খুচরো টাকার পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুন কুমার দে।
আনিশ উদ্দিন মোল্লা