আরও পড়ুনঃ চাষির ঘর থেকে চন্দ্রযান-৩ এর বিজ্ঞানীদের দলে বাংলার ছেলে! বাঙালি বিজ্ঞানীর জন্য গর্বে বুক ফুলবে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের আমতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে আমতলীতে কখনো পায়ে হেঁটে আবার কখনো নির্দল প্রার্থীর প্রতীক ট্রাক্টরে চেপে বিজয় মিছিল করলেন আমতলী অঞ্চল তৃণমূলের নেতৃত্ব ও কর্মীরা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট গ্রাম সভার আসন ছিল ১৫ টি ও পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দলীয় প্রতীককে তৃণমূল কংগ্রেস গ্রামসভায় ৮ টি আসনে জয় লাভ করে। বাকি ৭ টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা জয় লাভ করেন।
advertisement
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় টিকিট ভাগাভাগি করে গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডলের অনুগামীরা গ্রাম সভায় ৭টি আসনে তৃণমূলের প্রতীকে প্রার্থী দাঁড় করায় ও একটি প:স: আসনে দলীয় প্রার্থীকে দাঁড় করায়। অপরদিকে আমতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জন মন্ডল দলীয় টিকিটে গ্রাম সভায় ৮ টি আসনে প্রার্থী দাঁড় করান ও দুইটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কিন্তু প্রধান ও বিধায়কের অনুগামীরা একে অপরের বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী দাঁড় করান সব কয়টি আসনেই। তারমধ্যে বিধায়কের অনুগামীরা তিনটি আসনে বিজেপি কে সমর্থন করে। ফল ঘোষণার পর পঞ্চায়েত প্রধানের অনুকূলে ৬ টি তৃণমূল প্রার্থী ও তিনটি নির্দল প্রার্থী জয় লাভ করে। অপরদিকে বিধায়কের অনুকূলে ৪ টি দলীয় প্রার্থী ও ২টি নির্দল প্রার্থী জয়লাভ করে। ফলে পাল্লা ভারি প্রধান রঞ্জন মণ্ডলেরই।
আর এই ঘটনায় গোসাবার আমতলীতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীদের হারিয়ে জয় পেয়েছেন রঞ্জন। আর সেই কারণে তাঁর অনুগামী সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বিজয় উৎসব পালন করলেন তিনি। সেখানে একদিকে যেমন ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী, তেমনি ছিলেন নির্দলের প্রতীকে জয়ী প্রার্থীরাও।
অনুপ বিশ্বাস