জমিদার বাড়ির বিশাল ঠাকুর দালানে জন্মাষ্টমীতে কাঠামো পুজোর দু‘দিন পর থেকেই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায় ৷ জমিদার বাড়ির সদস্য শুভেন্দু মিত্র জানান, আনুমানিক ৩০০-৩৫০ বছর পুরনো এই পুজোয় মৃৎশিল্পী থেকে পুরোহিত সকলেই বংশপরম্পরায় এই পুজো করে আসছেন ৷ অতীতে দেড় মণ চালের নৈবেদ্য সমর্পণ করা হলেও বর্তমানে এক মণ চালের নৈবেদ্য দেওয়া হয় ৷ মহালয়ার পরের দিন থেকেই পুজো শুরু করা হলেও এখন ষষ্ঠী থেকেই মূলত পুজো শুরু হয় ৷ জৌলুস কমলেও আচার-আচরণে খামতি না রেখে নিয়ম মেনেই এখনও চলছে মিত্রবাড়ির পুজো।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির ভিতরে পড়ে পাঁচ-পাঁচজন অজ্ঞান মানুষ, খেজুরিতে মারাত্মক ঘটনা! ঘনাচ্ছে রহস্য
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, রায়দিঘি, মথুরাপুর ইত্যাদি এলাকা জুড়ে জমিদারি প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার করেছিল মিত্ররা। অতীতে পুজোর সময় এই জমিদার বাড়িতেই প্রজারা পুজোর যাবতীয় জিনিসপত্র পাঠাতেন ৷ কিন্তু কালের নিয়মে জমিদারি প্রথার অবসান ঘটেছে। অতীতে সাতটি ছাগল ও মোষ বলির প্রথার প্রচলন থাকলেও এখনদু‘টি করে ছাগল বলি হয় । বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই রয়েছে বিশাল পুকুর ৷ কলাবউ স্নান থেকে শুরু করে প্রতিমা বিসর্জন, সব এই পুকুরেই হয়৷
সুমন সাহা





