দুদিনের সফরে সুন্দরবনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত কাটিয়েছেন টাকিতে। বুধবার সকাল হতে না হতেই স্ব-মহিমায় তৃণমূলনেত্রী।এদিন টাকি থেকে জলপথে মুখ্যমন্ত্রীর লঞ্চ প্রথমেই পৌঁছয় হাসনাবাদের খা-পুকুরে। সঙ্গীদের নিয়ে খা পুকুরের বৈদ্যপাড়া ঘাটে নামেন মমতা। সেখান থেকে সটান পৌঁছে যান এলাকার জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে।
ঘড়িতে তখন দুপুর ২টো। অন্যান্য দিনের মতো, বুধবারও ক্লাস চলছিল খা পুকুর জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে। স্যরদের পড়া মন দিয়ে শুনছিল ছাত্রছাত্রীরা। হঠাৎই সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আগমন। প্রথমটা থতমত খেয়ে গেলেও আস্তে আস্তে সহজ হতে শুরু করে খুদের দল।
advertisement
আরও পড়ুন: 'চাটাই' অস্ত্রেই বাজিমাত করতে চায় তৃণমূল, নন্দীগ্রামের জন্য 'সুপারহিট' পরিকল্পনা
ছোট্ট ছেলেমেয়েদের হাতে একে একে শীতের জামা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কথাও বলেন। ছাত্রছাত্রীদের কাছে জানতে চান, তাঁরা বড় হয়ে কী হতে চায়? কেউ উত্তর দেয় ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ডাক্তার। কে কোন গান জানে, সেই প্রশ্নও করেন মুখ্যমন্ত্রী। খোঁজ নেন মিড ডে মিল সম্পর্কেও। বেশকিছুক্ষণ খুদেদের সঙ্গে থাকার পরে গ্রামের মহিলাদের মধ্যে শীতের জামাকাপড় বিতরণ করেন মমতা।
মাঝে বসে মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ঘিরে একদল মহিলা। তাঁদের মধ্যে কেউ বৃদ্ধ, কেউ বা মাঝবয়সি। মাটির কাছাকাছি এসে তাঁদেরই কাছ থেকে মমতা শিখে নিচ্ছেন ঘাস দিয়ে চাটাই বোনা। বুধবার এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল সুন্দরবনের হাসনাবাদ।
আরও পড়ুন:ঘর খুলতেই মেঝেতে মেয়ের দেহ, বিছানায় জামাইয়ের! পাশে পড়ে পোড়া কাঠকয়লা, কিন্তু কেন?
সুন্দরবন সফরের দ্বিতীয় দিনে প্রশাসনিক কাজকর্মের পাশাপাশি জনসংযোগ সারতেও দেখা গেল তৃণমূলনেত্রীকে। গত মঙ্গলবার বনবিবির মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন মমতা, আজ গেলেন স্কুলে। ঘুরে দেখেন গ্রাম।