#নন্দীগ্রাম: একটা সময়ের তৃণমূলের গড় নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সমীকরণের বদল হয়েছে। ফের সেই গড় পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় তৃণমূল। আর এর প্রধান অস্ত্র হিসেবে চাটাই বৈঠকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর নন্দীগ্রামের বয়ালে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌমেন মহাপাত্র। বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, "আমি চাটাই সভা বলেছিলাম। কিন্তু এখন এটাই জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আপনাদের সামনে দুটো সরকার আছে। একটা কেন্দ্রের সরকার আরেকটা রাজ্য সরকার। কেন্দ্র পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, ওষুধের দাম বাড়িয়ে চলেছে। সুদ কমছে। এটা একটা সরকার। কৃষকরা দিল্লিতে আন্দোলন করলো। ইউপিতে কৃষকের উপর গাড়ি তুলে দিলে দিলো মন্ত্রীর ছেলে। আর এখানে লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। এদের পছন্দ নয়। এরা বলছে খয়রাতির সরকার। এটা বন্ধ করে দেবো।"
সৌমেন মহাপাত্র বলেন, "বিজেপির জন্য জিনিসের দাম বাড়ছে এর বিরুদ্ধে তৃণমূল আন্দোলন করছে। বিজেপির মতো কর্পোরেট আমরা নই। তৃনমূল রাজ্যে পরিবর্তন এনেছিলো। বিভিন্ন জায়গায় হাত হাতুড়ি কাস্তে সব এক হয়েছে। আমরা ধরাসায়ী করেছি অনেক জায়গায়। পঞ্চায়েতে দেখিয়ে দিতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। ইউপি ত্রিপুরায় ভোট হতে দেয় না বিজেপি। সিপিএমের সময় এখান থেকে নিশ্চিন্তে যাতায়াত করা যেতো না। শান্তি রক্ষা করে তৃণমূল। মমতা বন্দোপাধ্যায় আগামি দিনের প্রধানমন্ত্রী। সাংগঠনিক দিক দিয়ে আমরা প্রমাণ হয়েছে। আমরা দুর্বল না সবল।"
আরও পড়ুন: বড় খবর! রাজ্যে বাড়ল দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সময়সীমা! জানুন বিশদে
আরও পড়ুন: উঠোন বৈঠকে বিজেপি-ও, বীরভূম থেকেই শুরু বিজেপি-র নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি
রাজীব বন্দোপাধ্যায় বলেন, "নন্দীগ্রামের ফলাফল বিচারাধীন। বেরলে দেখা হবে কত ধানে কত চাল। শুভেন্দু অধিকারী বলছে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করবেন। মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন। তাই বলে বিজেপি ৭৭ তে দাড়িয়ে গিয়েছি। আগামি দিনে বাংলার মানুষ আপনাকে প্রাক্তন করে দেবে। বিজেপিতে আমি গিয়ে দেখেছি বঙ্গ বিজেপি ক্লাব সংগঠনও নয়। সংগঠনে ওদের সং ছাড়া কিছু নেই। এদের ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নেই।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nandigram, TMC, West Bengal news