চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে সেই থেকে অসহায় অবস্থায় দিন গুজরান ‘বাঘ বিধবা'(এলাকার প্রচলিত কথায়) চন্দনা মন্ডল (South 24 Parganas News)। বড়ো মেয়ে বছর ১৭-র মাধবী মন্ডল, মিনতি মন্ডলের বয়স ১৩ বছর, এরপর রয়েছে বছর ১০ এর শ্রাবন্তী মন্ডল আর সবচেয়ে ছোট পাঁচ বছরের প্রতিমা মন্ডল।আবাস যোজনায় পাওয়া ঘর ছাড়া, আর কিছু নেই চন্দনা মন্ডলের৷ যে বসতবাড়িতে তারা এই মুহূর্তে রয়েছেন, সেই বাড়িরও কোন বৈধ কাগজ নেই চন্দনার নামে। দিনমজুরির কাজ করে চলে চন্দনা ও তার চার সন্তানকে নিয়ে অভাবের সংসার। কিন্তু এইভাবে কতদিন আর চলবেন বুঝে উঠতে পারছেন না এই অসহায় মা। সন্তানদের মুখে আহার যোগান দেওয়া এখন কঠিন হয়ে পড়েছে এই অসহায় বাঘ বিধবা মহিলার কাছে।
advertisement
স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে স্থানীয় দেউলবাড়ী দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এখন কোনরুপ সুযোগ সুবিধা মেলেনি চন্দনার৷ কুলতলীর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সহ বিভিন্ন দফতরে প্রশাসনিক আধিকারিকদেরকেও জানিয়ে কোন লাভ হয়নি৷ বড় মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এই অবস্থায় যদি কোনরূপ সাহায্য আর না পান, তাহলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ছাড়া আর কোন পথ বাকি থাকবে না বলেই দাবি চন্দনার। তিনি জানান, “সন্তানদের দু’বেলা পেট ভরে খেতে দেওয়ার ক্ষমতাও এখন নেই, কলকাতায় গিয়ে যে কোনো কাজ করব সে সুযোগও নেই। সরকার যদি একটু কোন ভাবে সাহায্য করতো তাহলে হয়তো আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম। এতদিন হয়ে গেলেও আমরা কোন সাহায্য পাইনি। এভাবে আর কতদিন চালাতে পারব জানি না”। এখন দেখার প্রশাসন কতটা সদয় হয় এই চার সন্তান সহ অসহায় মায়ের জীবন ধারণের ব্যবস্থা করতে। না হলে হয়ত অচিরেই হারিয়ে যাবে কয়েকটি প্রাণ। খোঁজ রাখবেনা কেউ।