১৯৮৫ সালে শুরু হয়েছিল তাঁর পথ চলা। তাঁর এই প্রত্ন গবেষণা কেন্দ্রে রয়েছে একাধিক মাটির হাঁড়ি, কলসি, অসংখ্য মুন্ডমূর্তি, পক্ষীচঞ্চুযুক্ত নারী মূর্তি, শিশুকোলে মাতৃকা মূর্তি, উদ্ভিন্নযৌবনা যক্ষিনীমূর্তি, শিলমোহর, মুদ্রা, পাথর, হাড়-সহ একাধিক দ্রব্য। ২০০৮ সালে তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজ্য সরকারের কাছে সংবর্ধিত হন তিনি।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা কাশীনগরের সরবেড়িয়া গ্রামে দেবীশংকর মিদ্যার নিজের বাড়িতেই রয়েছে এই গবেষণা কেন্দ্র। স্কুলজীবন থেকে কৌতুহলবশত নিজের এলাকার ইতিহাস সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন তিনি। এরপর একাধিক প্রত্নবস্তু সংগ্রহ করতে করতে নিজের উদ্যোগেই বানিয়ে ফেলেন এই প্রত্ন গবেষণা কেন্দ্র। এই প্রত্ন গবেষণা কেন্দ্র থেকে উপকৃত হন অনেক গবেষকই।
advertisement
আরও পড়ুন: হিক... হিক... হিক... একেক সময় হেঁচকি থামতেই চায় না, অবহেলা করবেন না! জানুন
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে ওঠার পরই ক্লান্তি ঘিরে ধরে? সাবধান না হলে বড় বিপদ হতে পারে!
এই প্রত্ন গবেষণা কেন্দ্র নিয়ে দেবীশংকর মিদ্যা জানান, সুন্দরবনের ইতিহাস অতি প্রাচীন। কিন্তু সেই সুন্দরবনের ইতিহাস খুব ভাল ভাবে লেখা হয়নি। ইতিহাসবিদদের ধারণা ছিল এখানে জঙ্গল ছিল জঙ্গল হাসিল করে এখানে মানুষজন বাস করছে। সেজন্য সুন্দরবনের কোনও প্রাচীনত্ব নেই।
কিন্তু ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি কাজ করতে গিয়ে দেখেছেন সুন্দরবনের ইতিহাস অতি প্রাচীন। জঙ্গল থাকার কারণে সুন্দরবন এখনও অনেকটা দূর্গম। সেই দুর্গম এলাকা থেকে প্রত্নবস্তু সংগ্রহ করে এনে প্রমাণ করা গিয়েছে সুন্দরবনের ইতিহাস অতি প্রাচীন। এর ইতিহাস মৌর্য যুগের আরও এক হাজার বছরের পুরানো। সেটা তাঁর গবেষণা কেন্দ্রের রাখা জিনিস দিয়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
নবাব মল্লিক