আরও পড়ুন:
একই এলাকায় থাকার সুবাদে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল ৷ ‘দুজনেরই পরিবার না চাইলেও পরিবারের বাধা উপেক্ষা করেই দুই বন্ধু মিলে কাজের আশায় পাড়ি দিয়েছিল ৷ ২রা জুন তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে করমণ্ডলে চেপেছিল ৷ সেদিনও বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে ৷ তারপর আর হঠাৎ আসে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর ৷ বারবার ফোন করলেও রিং হয়ে গিয়েছে ফোনে ৷
advertisement
আরও পড়ুন: কুলার বা এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যান চালালে ঘর কি বেশি ঠান্ডা হবে? কোথায় হচ্ছে ভুল? জানলে চমকে যাবেন
গয়না বন্ধক দিয়ে, পাড়া থেকে আর্থিক সাহায্য তুলে তারা পরিবারের লোক পাড়ি দিয়েছিল দুর্ঘটনাস্থলে ৷ এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতাল, লাশঘর ঘুরেও কোনও হদিস মেলেনি ৷ এখন হয়ত বেওয়ারিশ লাশ হয়ে ঘুরছে তাদের ছেলে ৷ ওড়িশা সরকারের নির্দেশে দুই পরিবারের সদস্য গিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করিয়ে এসেছে ৷ যদি কোনও মৃতদেহের সঙ্গে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট মেলে অন্তত শেষবারের মতন হলেও দুই পরিবারই নিজেদের সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে চান বাড়িতে ৷ এই অপেক্ষাতেই এখন দিন গুনছে দুই পরিবারই ৷
সুমন সাহা