এদিন ফলপ্রকাশ হতেই নেতাজি গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা উৎসার বাড়িতে যান। ছাত্রীর এমন ফলাফলে স্বাভাবিকভাবেই খুশি গোটা স্কুল। আগামীদিনে সরকারি আধিকারিক হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে উৎসার। বর্তমানে ভাল কোনও কলেজে অর্নাস নিয়ে পড়াশোনা করবেন তিনি। উৎসা জানান, পরীক্ষার আগে রুটিন মেনেই পড়াশোনা করতেন তিনি। প্রত্যেকটি বিষয়েই আলাদা করে গৃহশিক্ষক ছিল।এদিন মেধাতালিকায় নিজের নাম দেখেই আপ্লুত হয়ে যান তিনি।
advertisement
অন্যদিকে, রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করে শিলিগুড়ি কে গর্বিত করলেন শিরীন আলম। শিরীন শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯ । শিরিনের বাবা শামসুল আলম মুরালিগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক । নিজের মেয়ের উপর যথেষ্ট বিশ্বাস ছিল তার। চোখে জল ফেলতে ফেলতে শামসুল বাবু জানান, “সত্যিই আমার মেয়ের জন্য আমি খুব গর্বিত। আমি জানতাম ও ঠিক পারবে। আর ও করেও দেখাল। আগামীদিনে মেয়ের জন্য শুভ কামনা রইল।”
শিরিন জানায়, “আমার এই সাফল্যের পিছনে আমার বাবা-মা শিক্ষক-শিক্ষিকা সবার ভূমিকা রয়েছে। তাদের সাপোর্ট ছাড়া আমি এই ফল করতে পারতাম না। তবে একটা আশা ছিল যে প্রথম দশের মধ্যে থাকবো সেটা করতে পেরে আমি খুব খুশি।”
২৪ মে বুধবার বেলা ১২ টায় সাংবাদিক বৈঠকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য ফলাফল ঘোষণা করেন৷ প্রথম স্থানে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের শুভ্রাংশু সর্দার৷ তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬৷ এবারের মেধাতালিকায় রয়েছেন ৮৭ জন।
শুভ্রাংশর পরেই দ্বিতীয় স্থানে সুষমা খাঁ, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫৷ সুষমা বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী৷ ভবিষ্যতে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে চান সুষমা৷ সুষমার পাশাপাশি দ্বিতীয় স্থানে বাঁকুড়ার আবু সামা৷ আবু উত্তর দিনাজপুরের রামকৃষ্ণ প্রমোদ দাশগুপ্ত মেমোরিয়াল হাই স্কুলের(H.S) ছাত্র৷ তৃতীয় স্থানে আছে তিনজন৷ চতুর্থ স্থানেও আছে তিনজন৷
অনির্বাণ রায়