উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রর মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৫ জানুয়ারি। শেষ ভারপ্রাপ্ত ফিনান্স অফিসার সুখেন্দ্র নারায়ণ সাহা ২৫ ফেব্রুয়ারি কাজ করে অবসর গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নেই কোনও রেজিস্ট্রার বা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। শেষ ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ছিলেন নুপুর বিশ্বাস। এখন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই তিন আধিকারিক না থাকায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
advertisement
মূলত, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার ৪৯ টি কলেজ রয়েছে। রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পাস। সেইসব জায়গার সমস্ত কাজ থমকে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৫০ জন স্থায়ী ও প্রায় ৪৫০ অস্থায়ী কর্মীদের বেতন, কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড তিনমাস ধরে আটকে রয়েছে। সব থেকে বিপাকে পরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল আবাসিকরা। কারণ অর্থ অনুমোদনের জন্য উপাচার্য ও ফিনান্স অফিসার না থাকায় হোস্টেল আবাসিকদের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে চলল বুলডোজার, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৫০ টি বেআইনি দোকান
যা জানা গিয়েছে, ১৫ মার্চ পর্যন্ত আবাসিকদের খাবার মজুত ছিল। ফলে টাকা না মেলায় বৃহস্পতিবার থেকে আবাসিকরা কীভাবে খাবার পর্যন্ত খাবে তা নিয়ে চিন্তায় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তেলের টাকা না মেলায় বন্ধ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাস পরিষেবাও। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে কর্মীদের বদলি, লোক নিয়োগের মতো কাজও। ফলে দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান না করলে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিত্যদিনের কাজ। পেরিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখও। বকেয়া রয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। ফলে যে কোনও মুহুর্তে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম মুদ্রা দেখেছেন? সদ্য শিলিগুড়ির পড়ুয়ারা দেখল, আপনিও দেখুন
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম রেজিস্ট্রার স্বপন কুমার রক্ষিত বলেন, "আমরা সত্যিই খুব উদ্বিগ্ন। প্রতিদিনকার কাজ সেভাবে চললেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনভাবেই করা সম্ভব হচ্ছে না। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ফিনান্স অফিসার এখনও নিয়োগ করা হয়নি। তাতেই ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা উচ্চশিক্ষা দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি।" সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্য রঞ্জিত রায় বলেন, "একপ্রকার অভিভাবকহীন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশাসনিক প্রধান উপাচার্য নেই। রেজিস্ট্রার নেই, ফিনান্স অফিসার নেই। কীভাবে কাজ চলবে জানি না। অনেক কর্মী গত মাসের বেতন এখনও পাননি। আগামীতে বেতন মিলবে কিনা সেই বিষয়ে আমরা চিন্তিত।"
অনির্বাণ রায়