পথ কুকুরদের অনয়ন্ত্রিত আচরণের জন্য হামেশাই রাস্তাঘাটে মানুষ বিপদে পড়ে। সেই সঙ্গে তাদের সংখ্যা বেড়ে গেলে অনেক সময়ই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। তাছাড়া পথ কুকুরদের অনিয়ন্ত্রিত সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তারা নিজেরাও যথেষ্ট বিপদে পড়ে। এই সব কিছু কারণ মাথায় রেখেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নানা জায়গাতেই নির্বীজকরণ অভিযান হয়। এবার সেই দলেই নাম লেখাতে চলেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম।
advertisement
পশু চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে মেয়রের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া সহ শিলিগুড়ির মেয়র পারিষদরা। দীর্ঘদিন ধরেই শিলিগুড়ির রাস্তাঘাটে পথে কুকুরদের উৎপাত চলছে। ক্রমশই তাদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তাদের দ্বারা আক্রান্তও হয়েছেন অনেকে। রাতে গাড়ির পেছন পেছন পথ কুকুদের ছুটে যাওয়ার ঘটনায় অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এই সমস্ত দিক বিচার করে পথ কুকুরদের নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে পুরনিগম। তবে এই কাজে যাতে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি কোনও বাধা সৃষ্টি করতে না পারে তাই তাদের সঙ্গে নিয়ে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরনিগম। তাই তাদের সঙ্গে আগাম বৈঠকে বসেন মেয়র সহ পুরনিগমের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ১২৫ কোটির বিবেক তীর্থের পথ চলা শুরু নিউটাউনে
ওই বৈঠক শেষে মেয়র গৌতম দেব জানান, শিলিগুড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সামনে পুরনিগমের সেন্টার ও দাগাপুরের কাছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার একটি সেন্টার রয়েছে। এই দুটি সেন্টারে ২৯ ও ৩০ তারিখ এই দু'দিন দুটো করে মোট চারটে শিবির করে পথ কুকুরদের নির্বীজকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। পরে প্রতি সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে বোরো ভিত্তিক এই ধরনের শিবির আয়োজিত হবে। চার মাস ধরে এই কর্মসূচি চলবে বলে মেয়র জানান। শিলিগুড়ির ৪৭ টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৫ হাজার পথ কুকুর আছে। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত কুকুরের নির্বীজকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা এক প্রকার অসম্ভব। তবে যত বেশি সংখ্যক কুকুরের নির্বীজীকরণ করা যায় সেটা দেখা হবে বলে পুরনিগমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মেয়র গৌতম দেব আরও জানান, এই অভিযানে পথ কুকুরদের কিছু ভ্যাকসিনও দেওয়া হবে।
অনির্বাণ রায়