সেখানে ১৫০০ মিটার লং রানের প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। এছাড়াও ৮০০ মিটার এবং ৪০০ মিটারে তৃতীয় স্থান অধিকার করে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। সফলতা এসেছে শিলিগুড়ি তরাই স্কুলের মাঠে দিনরাত কঠোর পরিশ্রমের পর । আর তার সঙ্গে টেকনিক্যাল মারপ্যাঁচ শিখে। কিন্তু এই সফলতা ধরে রাখতে পারবেন কি সীমা! কারণ, এত লড়াইয়ের পরে তাঁর দৌড় কতদিন টিকে থাকবে, সেটাই বিষয়।
advertisement
প্রসঙ্গত, আমবাড়ির মেয়ে সীমা চক্রবর্তীর ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল। কিন্তু ২০০২ সালে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর খেলাধুলার মাঠে আর নামা হয়নি। তবে তার ইচ্ছেটা কিন্তু কোনদিনই মরে যেতে দেয়নি সীমা। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০১৯ সাল থেকে সীমা আবার নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তির জোরে আবার মাঠে নেমে নিজের প্র্যাকটিস শুরু করেন। কিন্তু প্র্যাকটিস করলেই যে হবেনা। ভালো খেলতে গেলে ভালো ডায়েট দরকার দৌড়ানোর জন্য ভালো জুতো দরকার। যার কোনটাই সীমার কাছে নেই। স্বামী সামান্য মায়ের বেতনের চাকরি করে। সেই টাকা দিয়ে সংসারেই চলে যায়।
আরও পড়ুন – Yummy Food: ভারতে বসে জমিয়ে ‘এই’ সব খেয়ে যাচ্ছেন, বিদেশে নিষিদ্ধ জনপ্রিয় ৫ খাবার
সীমা বলেন, ‘আমি অনেক অভাবের মধ্যে দিয়ে আজকে এই জায়গাটায় পৌঁছেছি। সব সময় লোকের সাহায্য নিয়েই যতটুকু পারছি এগিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে আমার ইচ্ছা এশিয়ান গেমস এবং অলিম্পিক্সে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া। কিন্তু অর্থের অভাবে সব সময় পিছিয়ে পড়ছি।’
এই অবস্থায় কোনও সহৃদয় ব্যক্তি কিংবা সংস্থা যদি সীমার পাশে এসে দাঁড়ায়। তবে আগামী দিনে দেশ তথা শিলিগুড়ি পাবে তাঁর নতুন প্রতিভাকে। সীমা চক্রবর্তীর গলায় তাই একটাই আর্জি। অদম্য জেদ এবং সাহসকে পাথেয় করে সীমা এগিয়ে চলেছেন তাঁর লক্ষ্যে। আর শিলিগুড়ির বিনয় মোড়, আমবাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একটাই আওয়াজ ‘ফাইট সীমা ফাইট।’
Anirban Roy