শিক্ষিকা স্মৃতিকণা ভট্টাচার্য মেয়রের গানের কমেন্ট বক্সে লিখেছিলেন, 'গানচর্চা শেষ হলে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসে একটু রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে যান।' আর তাতেই মন খারাপ হয় মেয়রের। কেন তাঁর গানের কমেন্ট বক্সে এমন মন্তব্য করেছেন তা জানতে সাত সকালেই ওই শিক্ষিকার বাড়ি গিয়ে হাজির হন গৌতম দেব।
আরও পড়ুন: আত্মীয়ের বাড়ি ঘুরতে গিয়ে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর নিথর দেহ নিয়ে ফিরলেন মিঠু!
advertisement
অবশ্য মেয়রকে সামনে দেখেও ঘাবড়ে যাননি ওই শিক্ষিকা। বরং গৌতম দেবকে বাড়ির ভেতরে এনে সামনে বসিয়ে মন্তব্যের কারণ ব্যাখ্যা করেন। স্মৃতিকণা ভট্টাচার্য পরিষ্কার জানান, তাঁর মন্তব্যে মেয়রের আঘাত পাওয়ার মত কিছু নেই। সত্যিই তাঁদের ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। তাই তিনি তাঁর প্রতিবাদ মেয়রের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি একদম সঠিক মন্তব্য করেছেন বলেও জানান ওই শিক্ষিকা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব পরে বলেন, রাস্তা বেহাল থাকলে সে কথা বলতেই পারেন। কিন্তু সেখানে গানের প্রসঙ্গ তুলে হেয় করা কেন হবে? পাশাপাশি জানিয়েছেন, তাঁর নিজের ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার পাস হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভেবেছিলেন তাঁদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেয়র হলে ওয়ার্ডের আরও বেশি উন্নতি হবে। কিন্তু গত এক বছরে তাঁদের সেই আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেন ওয়ার্ডের বহু বাসিন্দা।
অনির্বাণ রায়