আরও পড়ুন: দেশভাগের যন্ত্রণা ফুটে উঠছে রেল স্টেশনের প্রদর্শনীতে
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। পরাধীন অবিভক্ত ভারতকে ভাগ করে তৈরি হয় ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এর ফলে রাতারাতি ভিটেমাটি হারিয়ে বসেন অসংখ্য মানুষ। অনেকের আত্মীয়-স্বজন এক রাতে বিদেশি হয়ে যান। এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে ওঠে দুষ্কৃতী চক্র। ভয়ংষঙ্কর ভাবে বেড়ে যায় ধর্মীয় ভেদাভেদ, মহিলাদের উপর অত্যাচার। চলে ধন সম্পতি লুট। অত্যাচারের ভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে রাতারাতি পায়ে হেঁটে সীমান্ত পেরিয়ে উদবাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয় বহু মানুষ। দেশভাগের ফলে কার্যত উদ্বাস্তু স্রোত আছড়ে পড়ে ভারতে। সেই দিনগুলির কথা কখনও ভোলার নয়।এই ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনেকটাই অজানা। তাই সেই সময়কালের ইতিহাস সকলের সামনে তুলে ধরতে উদ্যেগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
advertisement
দেশভাগের ভয়াবহ স্মৃতি আজকে প্রজন্মকে জানাতে গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেখানে তুলে ধরা হচ্ছে সেই ভয়ঙ্কর সময়ের ঘটনাবলি। এই উপলক্ষে রেলের কাটিয়ার ডিভিশনের ছয়টি স্টেশনকে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রদর্শনীর জন্য। তারমধ্যে রয়েছে এনজেপি ও শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন। সেইমত সোমবার শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ পালন করা হয়। সেই সময়ের মর্মান্তিক ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী দুলালী পোদ্দার জানান,আমরা অসম্ভব যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে ওই সময়টা কাটিয়েছিলাম। আমাদের বাড়িঘর সব আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোনমতে প্রাণে বেঁচে ফিরেছি। তখনকার ছবিগুলো দেখে সেই ফেলে আসা সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
অনির্বাণ রায়