আরও পড়ুন Siliguri News: NJP স্টেশন থেকে ট্রেনযাত্রায় যেন জ্যাকপট পাবেন যাত্রীরা! এতাই ভাল এই খবর
তবে ওই ভাইরাসে সংক্রমণ গবাদি পশুর থেকে বন্যপ্রাণীর মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে চিন্তা আরও বেড়ে গিয়েছে প্রশাসনের।কেন্দ্রীয় সমীক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত লাম্পী ভাইরাস গবাদি পশুর ক্ষেত্রে মহামারির আকার ধারণ করে। দেশের ১৫ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৫৩ টি জেলার প্রায় ২১.৫ লক্ষ গবাদিপশু লাম্পী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক লক্ষ ১১ হাজার ৫৬৪ টি গরুর। আগস্ট মাসে ওই ভাইরাস ১৬৫ টি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। বিপজ্জনক রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, মধ্য প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, গোয়া, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি ও বিহার রয়েছে। যদিও প্রায় ২১ লক্ষ লাম্পী ভাইরাসে আক্রান্ত গবাদিপশুর মধ্যে ১৩ লক্ষ ২১ হাজার প্রাণীকে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে।.
advertisement
আরও পড়ুনঃ গ্যাস ওভেন মেরামতের মিস্ত্রি চেয়ে ফোন! তারপরের ঘটনা সাংঘাতিক
ওই ভাইরাসের সংক্রমণের সিংহভাগই রয়েছে রাজস্থানে। চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এখনও পর্যন্ত ওই ভাইরাসে সংক্রমণের ফলে ৫২৩ টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ওই ভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা চার হাজার ২৬৭ টি গবাদি পশু।পশু স্বাস্থ্য চিকিৎসা সূত্রে জানা গিয়েছে, লাম্পি ভাইরাস মূলত গরু, মহিষ জাতীয় গবাদি প্রাণীকে আক্রমণ করে থাকে। মশা, মাছি বা রক্তপান করা পোকা ওই রোগের ভাইরাসের বাহকের কাজ করে। রোগে আক্রান্ত হলে প্রাণীর গায়ে বড় বড় ফোসকা পরে এবং পরে তা ফেটে গিয়ে সিক্রেশন ও রক্ত বের হয়। যার ফলে প্রানীর জ্বর আসে, সারা গায়ে ব্যাথা অনুভব হয়। দুধ উৎপাদন ক্ষমতা শূন্য হয়ে যায়। বড় গবাদি পশু কিছুদিন বাঁচলেও বাছুরের মৃত্যু হয়। কোনও কোনও সময় গর্ভবতী প্রাণীরশিশুর মৃত্যু ঘটে। সেই ক্ষেত্রে আক্রান্ত প্রানীটিকে দ্রুত আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের শিলিগুড়ির সহকারি অধিকর্তা দিলীপ পাত্র বলেন, "রাজ্যে ওই ভাইরাসের প্রকোপ যথেষ্ট রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে কিছুটা কম। গোটা দেশের বিভিন্ন জেলায় এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। আর এই ভাইরাসের ফলে আক্রান্ত গবাদি পশু থেকে বন্যপ্রানীরও সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।" পশু চিকিৎসক ও ভেটেরিনারি অফিসার হিমাদ্রিশেখর রায় বলেন, "কোন প্রাণী ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত আইসোলেশনে রাখতে হবে যাতে অন্য কোন প্রাণী আর সংক্রমিত না হয়।"
অনির্বাণ রায়