প্রতিনিয়ত শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ ও সিকিম-বিহার-নেপাল-বাংলাদেশের প্রচুর মানুষের যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত মন্থর হয়ে পড়েছে। ক্রমবর্ধমান যানজট এবং রাস্তার অভাব, সড়কপথে যাতায়াত দূর্বিষহ করে তুলছে মানুষকে। শহরের মধ্যে এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তেমনভাবে রাস্তা সম্প্রসারণের জায়গা না থাকায়, দু-একটি বিকল্প উড়ালপুল বা সেতু করার পরিকল্পনা হয়েছে কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু তাতেও সমাধান হবে কিনা সেটা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউই। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সদর কার্যালয়ে।
advertisement
অসমের মালিগাঁওতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সদর দফতরে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ ও রেলের কর্তারা। সেখানে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানে করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই স্টেশনকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি একাধিক এক্সপ্রেসের স্টপেজও বাড়ানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্টেশনে।
আরও পড়ুনঃ তৈরি হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত বায়ো ডাইভার্সিটি পার্ক
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেখানে এতদিন ট্রেন দাঁড়াতো না, এবার থেকে সেখানে হল্ট চালু করতে চলেছে রেল। যেমন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজ থাকবে। সরাইঘাট এক্সপ্রেসের স্টপেজ থাকছে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে। এতে অনেক বেশি সংখ্যক যাত্রী উপকৃত হবে। তাদের সকলে ছুটে এনজেপি আসতে হবে না। শুধু তাই নয়, পরিকল্পনা চলছে শিলিগুড়ি বা এনজেপি থেকে উত্তরবঙ্গ হয়ে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে কলকাতা পর্যন্ত নতুন ট্রেন চালানোর।
আরও পড়ুনঃ মহকুমা পরিষদের কার্যালয়ের পার্কিং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এলাকা পরিদর্শন
বুধবার দিন আগরতলা থেকে আর প্রতি শুক্রবার দিন কলকাতা থেকে এই ট্রেন ছাড়বে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া শিলিগুড়ি ও নিউ জলপাইগুড়ি থেকেও একাধিক লোকাল ট্রেন চালানো হবে। বহুচর্চিত বন্দে-ভারত এক্সপ্রেসও চালানো হতে পারে নিউ জলপাইগুড়ি এবং গুয়াহাটির মধ্যে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এনজেপি থেকে বাগডোগরা, শিলিগুড়ি থেকে ঠাকুরগঞ্জ এবং এনজেপি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে শীঘ্রই। আর এই সমস্ত রুটে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার পর থেকে চাপ কমবে উত্তরের জেলাগুলোর। সাথে যানজটও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
Anirban Roy